শহিদুল ইসলাম দইচ : যশোরে ত্রানের দাবিতে ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসি। এসময় সড়কের দুই পাশে পণ্যবাহী অনেক গাড়ি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে এনডিসি এসিল্যান্ড ইউএনও পুলিশ সেনাবাহিনী র্যাব ও রামনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে তাদের ত্রান দেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলছেন, একটি মহল উস্কানি দিয়ে জনগনকে মাঠে নামিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত যশোর শংকরপুর বাস টার্মিনালের পূর্ব পাশে ফুয়েল পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। যশোরের এনডিসি প্রিতম সাহা জানান , এলাকাবাসি ত্রানের দাবিতে নারী-পুরুষ রাস্তায় দাড়িয়ে সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে চার পাচটি মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তিনি জানান, কর্মহীন মানুষের মাঝে খাবার সংকট আছে। এটা ঠিক। কিন্তু রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করার মতো ঘটনা ঘটেনি। ধারনা করা হচ্ছে একটি মহলের উস্কানিতে এ ঘটনা ঘটেছে। যশোর সদরের সহকারী ভূমি কমিশনার (এসি ল্যান্ড) সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, মানুষের পেটে খিদে আছে। এটা ঠিক তবে দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করবে এটা ঠিক না। উস্কানিদাতাদের চিহ্নিত করা হবে। যশোর সদরের ইউএনও কামরুজ্জামান বলেন, খবর শুনে ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে যারা একেবারেই অনাহারি তাদের চিহ্নিত করে বিকেলের ভিতরে খাবার পৌছানোর ব্যবস্থা করা হবে। এব্যাপারে পৌরসভার সচিব ও রামনগর
ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। কর্মহীন অনাহারিদের সাধ্য অনুযায়ী খাবার পৌছে দিতে। রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজনিন নাহার বলেন, এখানে আমার ইউনিয়নে লোকের সংখ্যা কম। পৌরসভার লোকের সংখ্যা বেশি। এই বিক্ষোভে পৌরসভার লোকই বেশি। আমার ইউনিয়নে চারটন চাল পেয়েছি। চাহিদা একশো টনের। বিক্ষোভকারি পৌরসভার লোকদের চাল দেব কিভাবে? এই এলাকার কামরুজ্জামান ও আবু সাঈদ উস্কানি দিয়ে লোকজন জড়ো করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে। এদের বিচার হওয়া উচিৎ।