প্রান্তিক পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ বাজারজাত কেন্দ্র চালু

0
387

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের চাষি, খামারি এবং উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বাজারজাত করতে সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতিতে বাজারজাতকরণ সংকটে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উৎপাদক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এবং ভোক্তাদের প্রাণিজ পণ্য প্রাপ্তির চাহিদা বিবেচনা করে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন, উদ্যোক্তা ও খামারিদের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

বুধবার (২২ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা পত্রটি সব জেলা প্রশাসকদের বরাররও পাঠানো হয়েছে।

করোনা সংকটে সরবরাহ চেইন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদিত প্রাণিজ পণ্যের সুষম বণ্টনের অভাবে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ভোক্তারা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং উৎপাদকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ বিষয়টি মাথায় রেখে ইতোমধ্যে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পিকআপ, ভ্যান ও অটোরিকশাযোগে প্রান্তিক পর্যায় থেকে দুধ ও ডিম সংগ্রহ করা হচ্ছে। একইসাথে প্রচার-প্রচারণাপূর্বক শহরের গ্রোথ সেন্টার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করে দুধ ও ডিম নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে ভোক্তাদের আস্থা অর্জন ও বিশুদ্ধ দুধের নিশ্চয়তা প্রদানে ভেটেরিনারি সার্জন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এবং ভেটেরিনারি কম্পাউন্ডারের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ দুধ পরীক্ষাকরণ টিমও গঠন করা হয়েছে। এতে খামারি ও উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি ভোক্তাগণ উপকৃত হচ্ছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের এ ধরনের কার্যক্রম সফল ও প্রশংসিত হওয়ায় এর আদলে প্রান্তিক পর্যায়ে উৎপাদিত মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here