নাসির আহমেদ,দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ অরক্ষিত থাকায় জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করছে। অবরোধ ও মহামারি করোনা ভাইরাসেও থেমে নেই জেলেদের মাছ ধরা। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে প্রকাশ্য নদীর মাছ বিক্রিয় হলেও অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন নিরব। মৎস্য অফিস ও বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। অবরোধের প্রথমদিকে মৎস্য, নৌ-পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন নদীতে অভিযানের তৎপরতা চালায়। মহামারি করোনার প্রার্দুভাব দেখা দিলে উপজেলা প্রশাসনের এই তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায়। মৎস্য ব্যবসায়ীদের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্য মাছ ধরা ও বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গোলখালী, সৈয়দ জাফর, কাটাখালী, বাশঁবাড়িয়া, হাজীরহাট এলাকায় তেতুলিয়া-বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জাল ফেলে জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করছে। জেলেদের ধৃত মাছ উপজেলার বাশঁবাড়িয়া ও দশমিনা সদরের প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে প্রতিদিন কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাকে করে মাছ পরিবহন করছে। শুক্রবার বাশঁবাড়িয়া লঞ্চঘাট থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাছ পরিবহনকালে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুর রহমান তালুকদার ঝান্টাকে উপস্থিত দেখা যায়। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ধরেন ধরেন, আপনারা আটকান। আমার কিছু করার নাই।
দশমিনা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস,আই উত্তম কুমার বলেন, আমরা এখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ নিয়ে ব্যস্ত আছি। মাঝে মাঝে অভিযান দিচ্ছি। তারপরও আমাদের চোখের আড়ালে মাছ ধরা ও পরিবহন চলছে।