(নড়াইল জেলা) প্রতিনিধিঃ নড়াইলের অনেক ইতিহাস এর সাক্ষী নিয়ে এখনো দাড়িয়ে আছে বাড়িগুলো..!! গ্রামের বাড়ির সাথে ইংরেজ জমিদারী শাষন আমলের অনেক ইতিহাস রয়েছে, যে ইতিহাস গুলো সংরক্ষণ এর অভাবে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। এই বাড়ি থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত কিংবদন্তি চারণ কবি বিজয় সরকার এর গান এর যাত্রা শুরু হয়েছিল নড়াইল এর জমিদার মনিদ্রনাথ রায় চৌধুরীর যাত্রার দলে গান করার মাধ্যমে, গ্রামের বাড়ি বিখ্যাত ঘোষ জমিদার বাড়ি। নড়াইলের রায় উপাধিযুক্ত কায়স্থ জমিদারদের সাথে, ঘোষ জমিদার দের বেশ সক্ষত্যা ছিল।
সম্পত্তি শালিতায় বংশ মর্যাদায় প্রভাবে, ও শাসন প্রতাপে শিক্ষা গৌরব এ দেশময় প্রতিপত্তি সূত্রে ইহারা একটি প্রশিদ্ধ জমিদার বংশ।
ইহারা উত্তর রাড়িও কুলিন কায়স্থ সেৌকালিন কৃষ্ণ দুলাল ঘোষ বর্ধমান জেলার দায়হাট এর নিকট জগদানন্দ পুরে বাস করিতেন।তার কন্যার সাথে যশোর চাচড়ার রাজা শ্রী কন্ঠ রায় এর বিবাহ হয়।সেই সুত্রে তিনি চাঁচড়ার সন্নিকটে ভৈরব নদীর তীরে রামনগরে এসে বসবাস শুরু করে। রামনগর, ইমাদপুর, তালবাড়িয়া প্রভৃতি খারিজ তালুক সৃষ্টি করিয়া কৃষ্ণ দুলালের সঙ্গে বন্দবস্ত করেন। কৃষ্ণ দুলাল যশোর কালেক্টরের সাব সেরেস্তাদার ছিলেন। পুত্র রাধা মোহন ওই চাকরি করতেন। এসময় অনেক টাকা পয়সার মালিক হন। পরবর্তীতে মুড়াগাছার জমিদার লক্ষী নারায়ণ রায়ের পুত্র জমিদার বৈদ্যনাথ রায়ের কাছ থেকে ১২০১ সালে কবচ পত্র দ্বারা রাধা মোহন ঘোষ চৌধুরী কিনে নেন। রাধা মোহনের পুত্র পরবর্তীতে সম্পত্তি ভাগাভাগি করে আলাদা হয়ে যান। রাধা মোহনের বড় পুত্র গোপাল হরি হুগলা পরগোনাতে থাকতেন। তার দুই পুত্র নলদী পরগোনার একটি তালুক ক্রয় করে নড়াইলে বসবাস শুরু করে। ১৮৩০ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত ঘোষ চৌধুরী বংশের লোকেরা এ পরগনাতে বসবাস করেন। দেশ ভাগের সময় তারক্ষনাথ ঘোষ, গ্রীশচন্দ্র ঘোষ মনমথ ঘোষ, ভুবন ঘোষ, শ্যাম প্রসাদ ষোষ,কালীপ্রসন্ন ঘোষ এ বংশের উত্তর সুরীরা বর্তমান ভারতের কলকাতার সোদপুর, হাওড়া, কালীঘাটে বসবাস করছে। নড়াইলের অনেক ইতিহাস এর সাক্ষী নিয়ে এখনো দাড়িয়ে আছে বাড়িগুলো..!!