পুলিশের বাঁধায় সংবাদ সম্মেলন পন্ড কালিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে দাবী পরিবারের

0
472

কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ৭নং জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যানের নামে ত্রানের চাউল আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল মহামারী করোনা (কোভিড-১৯) সাহায্যের জন্য জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদে ৩ টন সরকারী চাউল বরাদ্দ আসে। উক্ত চাউল বন্টনে অনিয়ম হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গত ২১শে (এপ্রিল) কালিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিজে বাদী হয়ে নড়াগাতি থানায় একটি মামলা করে।
পরিবারের দাবী জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন চৌধুরী নির্দোষ। কারণ এ সকল সমস্ত তথ্য প্রমান তাদের কাছে রয়েছে। তাকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে তার পরিবার। সে প্রেেিত গত ২৯ এপ্রিল তার পরিবার নিজস্ব বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে উপস্থিত হন কিছু সাংবাদিক। অবশেষে নড়াগাতি থানা পুলিশী বাঁধায় তাদের সংবাদ সম্মেলন করতে দেওয়া হয়নি ওই পরিবারটিকে। সংবাদ সম্মেলন করতে না পেরে উপস্থিত সাংবাদিকদের জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন চৌধুরী ছেলে মোঃ মঞ্জুর চৌধুরী বলেন, গত ৯ এপ্রিল মহামারী করোনা (কোভিড১৯) উপল্েয ৭নং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদে ৩ টন চাউল আসে। আমার বাবা ইউনিয়নের ৯জন ইউপি সদস্যকে ডেকে জনসংখ্যা অনুপাতে প্রত্যেক সদস্যকে সম্পূর্ণ চাউল বন্টনের জন্য ভাগ করে দেন এবং প্রত্যেকেই যার যার ওয়ার্ডের চাউল স্বার পূর্বক বুঝে নেন। কিন্তু ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহীন চাউল গ্রহন করিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় আমার বাবা ইউএনও কালিয়াকে ফোন করলে তিনি সংরতি মহিলা সদস্য (৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ড) খালেদা বেগমকে উক্ত চাউল বোঝাইয়া দেওয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেন। কালিয়া ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশক্রমে আমার বাবা আলাউদ্দিন চৌধুরী উক্ত চাউল স্বার পূর্বক খালেদা বেগমকে বুঝিয়ে দেন। চাউল বিতরণের দিন সমস্ত ওয়ার্ডে রেজুলেশন মেইনটেইন করে সুষ্ঠ ভাবে চাউল বিতরণ করা হয়। অথচ ওই রেজুলেশনে ৪নং ওয়ার্ডের ২৮ জন দুস্থ্য ও হতদরীদ্র যারা চাউল পেয়েছে তাদের কপি সরিয়ে ওখানে ভূয়া টিপ সহির মাধ্যমে অন্য ২৮ জনের নাম বসানো হয়েছে এবং ল্য করলে দেখা যাবে ওই টিপ গুলি কারসাজি করে রেজুলেশন জমা দেওয়া হয়েছে। মঞ্জুর চৌধুরী সাংবাদিকদের আরো বলেন, আমার বাবা চাউল বুঝে দেওয়ার পর সমস্ত ওয়ার্ডে দায়িত্ব প্রাপ্তরাই বন্টন করেছে। যদি ভুল হয়ে থাকে খালেদা বা শাহীন করেছে আর রেজুলেশনের আসল কপি সরিয়ে নকলটা সচিবের সহযোগীতায় তারা জমা দিয়েছেন। সচিবকে আসলটা কোথায় বললে সে ওটা খুঁজে পাচ্ছেনা বলে জানায়। এটা একজন সরকারী কর্মচারীর কেমন দায়িত্বহীনতা তার সঠিক তদন্তে আরো সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে আমি মনে করি। মঞ্জুর চৌধুরী আরো বলেন, আমার বাবা ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ৩বার ১নং সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে অত্র থানায় তিনিই আওয়ামীলীগের একমাত্র চেয়ারম্যান এবং ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আমার বাবাকে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কিছু হাইব্রিড নেতাদের উস্কানীতে আমাদের সংবাদ সম্মেলন করতে দেওয়া হয়নি। কারণ আমার বাবাকে ফাঁসানোর পিছনে তাদের হাত রয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবিনয়ে অনুরোধ করছি ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত হোক, তবেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। তখনই বোঝা যাবে যে আমার বাবা নির্দোষ। এ ব্যাপারে জয়নগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহীন চৌধুরীর বলেন, আমি আমার ৪নং ওয়ার্ডের সব চাউল বুঝে নেইনি। আমি শুধু মাত্র আমার ওয়ার্ডের ২২ জনের চাউল বুঝে নেই এবং আমি মাত্র ২২জন কে চাউল বিতরন করি। বাকি চাউল আমি বুলু দফাদারকে বুঝিয়ে দেই। পরে সে চাউল কি হয়েছে আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে জয়নগর ইউনিয়নের সংরতি ইউপি সদস্য খালেদা খানমের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭২০-৪৭৭৪৪৫ নম্বরে বার বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে জয়নগর ইউনিয়নের সচিব মহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭১৫-৯৩৫৪১০ নম্বরে বার বার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ওসি নড়াগাতি রোকসানা খাতুন এর ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে জনসমাগম যাতে না হয় সে ব্যাপারে আমরা তাদের সতর্ক করেছি মাত্র। এ ব্যাপারে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাজমুল হুদার ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭১৮-৩৪৬০৫৭ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ওই চাউল গুলি সঠিক ভাবে বন্টন করতে নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু চেয়ারম্যান একই নাম দুইবার দেখিয়েছে মাস্টার রোলে।এতে বোঝা যায় চাউল সুষ্ঠ ভাবে বন্টন হয়নি। যার কারনে তার বিরদ্ধে মামলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here