হেলাল উদ্দিন, রাজগঞ্জ প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষিতে যশোর লকডাউনের মধ্যেই ১০মে থেকে খুলতে যাচ্ছে শপিংমলসহ দোকানপাট। এতে করোনা সংক্রমণে মানুষের স্বাস্থ্য-জীবনে ঝুঁকি বৃদ্ধির শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জানাগেছে, একের পর এক করোনা শনাক্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে যশোর জেলা ব্যাপি। ফলে এজেলায় গত ২৭ এপ্রিল সোমবার থেকে লকডাউন ঘোষনা করে জেলা প্রশাসন। লকডাউনের পর থেকে কিছুটা নিরাপদ ও স্বস্তিতে ছিলো জেলাবাসি। তবে ৪মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে দেশব্যাপী আগামি ১০মে থেকে শর্ত সাপেক্ষে সীমিত আকারে ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শপিংমলসহ বিভিন্ন মার্কেটগুলো খোলার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। এ ঘোষনায় সাধারণ বিক্রেতাও ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও চলমান করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়বে এমন মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল।
তাদের দাবি, এখনো লকডাউন উঠানোর সময় আসেনি। আরো কিছুদিন লকডাউন কার্যক্রম থাকলে করোনা যুদ্ধে বিজয়ী হওয়া সহজ হতো। তাছাড়া এমনিতেই লকডাউনের মধ্যেও অনেক মানুষ অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি ও বাজারঘাটে অবস্থানের ফলে জনজট ও ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকের সচেতনতার অভাবে সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে অঘোষিত কিন্তু কার্যত লকডাউন শিথিল করে দোকানপাট খুলে দিলে সাধারণ মানুষ কতটুকু মানবে তা নিয়ে সন্দিহান থেকেই যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে- বর্তমান লকডাউনের মধ্যেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় সকালে যেসমস্ত দোকানপাটগুলোই ভিড় কমছে না। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। গা ঘেঁষে রাস্তা চলাচল ও কাঁচা বাজার কেনাকাটা করছে লোকজন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পিছনে রাজগঞ্জ বাজারের সামান্য এক চায়ের দোকানী তপনসহ আরো কয়েকজন বলা-বলি করছিলো যে, লকডাউন উঠানো হলে আবার পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। এব্যাপারে রাজগঞ্জ এলাকার অনেকেই বলেন, দেশে চলমান করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এখনো বাড়ছে। সেখানে যশোরসহ বিভিন্ন এলাকায় এখন শপিংমল, মার্কেট ও দোকান খোলা রাখা আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মন্তব্য সচেতন মহলের।