লক্ষীপাশা(নড়াইল)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় সামাজিক দূরত্ব মেনে ভিজিডি উপকারভোগীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার(৭মে) সকালে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে পরিষদ চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে ভিজিডি উপকারভোগীর সংখ্যা ১৯৯। উপকারভোগীরা তাদের ন্যায্য পাওনা বুঝে পাচ্ছেন কিনা বা কারো কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সে খোঁজখবর নিতেই এ আয়োজন করা হয়। উপকারভোগী লাইজু বেগম(কার্ড নং-১৯০), মরজিনা বেগম(কার্ড নং-১৮),নাসিমা বেগম(কার্ড নং-১৪), কাকলি বেগম(কার্ড নং-৪৪), হুরি বেগম(কার্ড নং-৪৬)সহ অন্যরা জানান, গত বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দকৃত ভিজিডির সম্পূর্ণ চালই আমরা পেয়েছি কোন সমস্যা হয়নি। বসুপটি ৬ নং ওয়ার্ডের মুকুল শেখের স্ত্রী উপকারভোগী পান্না বেগম বলেন, আমি নিয়মিতই চাল পাচ্ছিলাম। মাঝে আমার কার্ডটি হারিয়ে গেলে চেয়ারম্যানের পরামর্শে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। পরে আমাকে আবারো কার্ড দিয়ে নিয়মিত চাল দিচ্ছে। বকেয়া চালও পেয়েছি। ঈশানগাতী গ্রামের উপকারভোগী আদরীর মা সুফিয়া বেগম বলেন, আমার মেয়ে নিয়মিতই চাল পায়। পারিবারিক সমস্যায় মেয়ে আসতে না পারলেও আমি এসে চাল নিয়ে যাই। ঈশানগাতী গ্রামের উপকারভোগী জলি বলেন, আমার কার্ডটি হারিয়ে গেলে চেয়ারম্যান বলেন থানায় জিডি করতে। জিডি করবার পরে আমি বকেয়া চালসহ সমুদয় বরাদ্দকৃত চাল পেয়েছি। সমাবেশে উপস্থিত অন্য উপকারভোগীরা বলেন, চেয়ারম্যান চৌকিদার বা তার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে খবর দিয়ে নিয়মিত আমাদের ন্যায্য পাওনা সমুদয় চাল দেন। গরীবদের পাশে চেয়ারম্যান সবসময়ই থাকেন। আওয়ামী লীগ নেতা ও কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়র রহমান বলেন, সরকারি বরাদ্দ পাবার পর আমি সচিবসহ মেম্বরদের সমন্বয়ে পরিষদে সভা করে সিদ্ধান্তগুলি রেজুলেশন ভূক্ত করে মেম্বরদের দিয়েই উপকারভোগীদের চাল দেই। তিনি অভিযোগ করেন, ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুল ওয়াহেদ একজন উপকার ভোগীর ভিজিডি কার্ড আটকিয়ে দেয় এবং মেম্বরের ছেলে সুজন ওই কার্ডের ছয় মাসের চাল উত্তোলন করে নেয়। পরে ক্ষতিগ্রস্থ ওই কার্ডধারীর স্বামী নজরুল বিষয়টি আমাকে জানালে আমি মেম্বরের কাছে কারণ জানতে চাই। পরে কার্ডটি আমি আটকিয়ে দেই। আমি ক্ষতিগ্রস্থ ওই কার্ডধারীর চাল দেবার ব্যবস্থা করেছি। চেয়ারম্যান আরো অভিযোগ করেন, মেম্বর আব্দুল ওয়াহেদ পদ্দবিলা গ্রামের ৬/৭জন মহিলার কাছ থেকে গর্ভবতী ভাতা কার্ড করে দেবার কথা বলে ২১শ থেকে ২৫শ করে টাকা নিয়েছে। ভূক্তভোগী মহিলারা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে যে মেম্বর টাকাও ফেরত দিচ্ছে না, কার্ডও দিচ্ছে না। অভিযোগ দেবার সময় মেম্বর এসে ওই মহিলাদের গালিগালাজ করেছে। আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি। এর পর থেকেই মেম্বর আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি সঠিক নিয়মে প্রকৃত ভাতাভোগীদেরই চাল দেই। তিনি সমাবেশে আরো বলেন, কারো বকেয়া চাল পাওনা থাকলে বলবেন, অবশ্যই তাদের চাল দেয়া হবে। ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, আমার ভাইপো লিপনের কাছে নজরুলের স্ত্রী নিজেই কার্ড দিয়েছিল। আমার ভাইপো দুই বস্তা চাল উত্তোলন করেছিল। পরে চাল ও কার্ড ফেরত দেছে। গর্ভবতী ভাতা কার্ড করে দেবার জন্য কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি।