লোহাগড়ায় শিশু ছাত্রর বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পুলিশের ভাষায় যৌন নিপীড়ন ॥ ধর্ষণ নয়

0
471
All-focus

লক্ষীপাশা(নড়াইল)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় চতুর্থ শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রর বিরুদ্ধে শিশু শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় এখনো তোলপাড় চলছে। এঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ায় অভিযুক্ত ধর্ষক আঃ কাদের ওরফে ছোটন বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কাশিপুর ইউনিয়নের ধোপাদহ পূর্বপাড়া গ্রামের রাজ্জাক ফকিরের ছেলে আঃ কাদের ওরফে ছোটন এর বিরুদ্ধে গত ৭ এপ্রিল বিকালে খেলাধুলা করার সময় প্রতিবেশী শিশু শ্রেণীর ছাত্রী (৮)কে পরিত্যক্ত বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষণ অভিযোগ ওঠে। এঘটনায় ৮ এপ্রিল ওই শিশুর মা বাদী হয়ে আব্দুল কাদের ওরফে ছোটন কে আসামী করে লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৮। পরবর্তীতে পুলিশ আব্দুল কাদের ওরফে ছোট কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অভিযুক্ত ধর্ষকের মা কোহিনুর বেগমের দাবি জমা-জমি ও পূর্বশত্রুতার কারনে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে ফাঁসানো হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের অনেকেই বলছেন এর মধ্যে রহস্য আছে। প্রতিবেশীরা বলছেন যে ঘরে ধর্ষণের কথা বলা হচ্ছে সে ঘরের সাথেই একাধিক ঘর রয়েছে। কিন্তু তারা কেউই কোন চিৎকার বা অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে শুনতে পাননি। কোহিনুর বেগম আরো অভিযোগ করেন, যে পরিত্যাক্ত ঘরে ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে সে ঘরের দুপাশেই সবসময় লোকজন থাকে। কেউ কোন চিৎকার শোনেনি বা তখনই কোন অভিযোগ করা হয়নি। অনেক পরে গিয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই সময় গ্রামের কয়েকজন মাতুব্বর আমার কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করেছিলেন কিন্তু তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মূলত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কথিত ধর্ষকের বাড়ির পাশর্^বতী পরিত্যাক্ত ওই ঘরের নিকটতম বসবাসকারী মহিলারা বলছেন, আমরা সবসময়তো বাড়িতেই ছিলাম কোন চিৎকার, চেচামেচি, শব্দ শুনিনি। কোন অভিযোগও তখন কেউ দেয়নি। পরে শুনলাম ওই শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। লোহাগড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, ওই শিশুর ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছি। ধর্ষণের আলামত বলতে যেটা বোঝায় সেটা পাওয়া যায়নি। কিন্তু যৌনাঙ্গে ক্ষত আছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। এটাকে যৌন নিপীড়ন বলা যায়, ধর্ষণ নয়। তবে, তদন্ত চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here