বাগআঁচড়া প্রতিনিধি : শার্শার রুদ্রপুরে আকবার আলী (৪৫) নামে স্ট্রোক জনিত কারনে মৃত এক ব্যক্তির লাশকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে একটি মহল।মৃত্যুর কারণ হিসেবে স্থানীয় কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ(টিংকু)কে ফাঁসানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে ঐ কুচক্রী মহল। জানাযায়, মহামারী করোনা ভাইরাসে দেশ যখন লকডাউন। এ সময় সারাদেশে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে অসহায় দরিদ্র পরিবার। আর এসব ঘরবন্দি অসহায় দরিদ্র পরিবারে মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিতে শার্শার কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু চালু করেন” হ্যালো চেয়ারম্যান” ফোন কল।যে ফোন কলের মাধ্যমে মিলবে খাদ্য সামগ্রী। গত শনিবার (৯ মে) ছিল হ্যালো চেয়ারম্যানের খাদ্য সামগ্রী বিতরনের১৫ তম দিন। বিকালে স্থানীয় চেয়ারম্যান উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামে করোনা ভাইরাসের কারনে খাদ্য সংকটে আছে এমন একজন মধ্যবিত্ব পরিবারের সদস্যের ফোন পেয়ে তাকে খাদ্য সামগ্রী দিতে তার বাড়িতে যায়।এসময় স্থানীয় রুদ্রপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া বউ বাজারে পৌছালে সেখানকার সিংড়া-পিঁয়াজির দোকানদার আকবর আলী চেয়ারম্যান টিংকুর গাড়ী গতিরোধ করে ত্রান দাবি করেন।এসময় চেয়ারম্যান টিংকু তাকে ত্রান দিবেন বলে আশস্ত করে আসেন। সন্ধার পরে পিঁয়াজী-সিংড়া বিক্রির এক ফাঁকে দোকানী আকবর আলী নিজের স্ত্রীকে দোকানে রেখে বাড়িতে চলে যান। তার স্ত্রী তারাবীর নামাজের পর বাড়িতে গিয়ে দেখেন তিনি ঘরে খাটের উপর মৃত্যুবরণ করে পড়ে আছেন। আর তার এই মৃত্যুকে পুঁজি করে স্থানীয় একটি কু-চক্রী মহল চেয়ারম্যান টিংকুর জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
মৃত আকবর আলীর স্ত্রী শাহানারা বেগম জানান, আমার স্বামী একটু উত্তেজিত প্রকৃতির লোক ছিলো। সে সব সময় একটু জোরে এবং বেশী কথা বলতো।চেয়ারম্যান টিংকু যখন আমাদের গ্রামে ত্রান দিয়ে ফিরে আসছিলো তখন আমার স্বামী চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে বলে সবাই ত্রান পাচ্ছে আর আমার ঘরে চাল নাই আমার ত্রান কৈই।তখন চেয়ারম্যান বলেন আমি তো জানতাম না আপনি খাদ্য সংকটে আছেন এই বলে তিনি তার গাড়ি থেকে কিছু চাল আমার কাছে দেন এবং বলেন ভাবি মনে কিছু করবেন না আপনাদের আরো ত্রানের ব্যবস্থা করে দেব বলে চলে যান। তিনি আরও বলেন আমার স্বামী মারা গেছে স্টোক করে। আমার স্বামীর লাশ টাকে নিয়ে চেয়ারম্যানের বিপক্ষের কিছু লোক নোংরা রাজনীতি করে চেয়ারম্যানকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে । আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য চেয়ারম্যান দায়ী না বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু জানান, আমার হ্যালো চেয়ারম্যান প্রোগ্রামের ১৫ তম দিনে রুদ্রপুরের একজনের ফোন পেয়ে তার বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে গেলে রুদ্রপুর পশ্চিম পাড়ায় বউ বাজারে সিঁংড়া-পিঁয়াজি বিক্রেতা আকবর আলী আমার গাড়ির গতিরোধ করে আমার কাছে ত্রান দাবি করে। আমি তাকে কিছু চাউল দিয়ে আসি এবং স্থানীশ ইউপি সদস্যকে বলে আসি যে সে যেন ত্রান পাই তার ব্যবস্থা করতে।এবং সে ত্রান পাবে তাদের আস্বস্ত করে চলে আসি। আজ সকালে শুনি উনি মারা গেছেন। উনার মৃত্যুর খবর পেয়ে কষ্ট পেয়েছি। আর তার এই মৃত্যকে পুঁজি করে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে এবং আমাকে ফাঁসাতে আমার ইউনিয়নের একটি কু-চক্রী মহল নোংরা রাজনীতি তে মগ্ন হয়ে আমার নামে বিভিন্ন গুজব রটাচ্ছে যে আমি নাকি ঔ আকবর আলীকে লাঞ্চিত করেছি তাই সে মারা গেছে। এটা সম্পুর্ন মিথ্যা কথা। আমি এর তীব্র ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।