মণিরামপুরে চাকুরি চ্যুত ইমামকে স্বপদে বহালের দাবীতে জুম্মাবাদ কেন্দ্রীয় মসজিদের মুসল্লিদের বিক্ষোভ

0
482

নজরুলই সলামখেদা(পাড়াপ্রতিনিধি) : মনিরামপুর কেন্দ্রীয় মসজীদের ইমামকে অন্যায়ভাবে চাকুরি চ্যুতির অভিযোগে মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ফেসবুক চালানোসহ তাবলীগ জামাত বিরোধীতাসহ ভিত্তিহীন নানা অভিযোগ এনে মসজিদের এ ইমামকে চাকুরিচ্যুতি করা হয়েছে বলে কমিটির দাবী। শুক্রবার জুম্মাবাদ কেন্দ্রীয় মসজিদের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষুব্ধ মুসল্লিরা চাকুরি চ্যুত ইমাম মুফতী মাসউদুর রহমানকে মসজিদে পূর্নবহালে ৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়। একই দাবিতে প্রায় দুইশ’ মুসল্লি স্বাক্ষর করেছেন বলে জানাগেছে। পরে ইসলামী আন্দোলনের ইবাদুল ইসলাম মনু নামের এক নেতার অনুরোধে মুসল্লিরা শান্ত হন।
খোঁজখবর নিয়ে জানাযায়, খুলনা বিভাগের অন্যতম কওমী মাদ্রাসা জামেয়া ইমদাদিয়া (বালক-বালিকা) মাদানীনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী মুহম্মদ ওয়াক্কাস। মুফতী মুহম্মদ ওয়াক্কাস ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হয়ে তৎকালিন ক্ষমতাসীন স্বৈরাচার সরকার জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে জাতীয় সংসদের হুইপ এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এমপি থাকাকালীন ১৯৮৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেয়া ৫ লাখ টাকা অনুদানে পৌরশহরে বৃহৎ এ কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
মুফতী মাসউদুর রহমান ২০০৭ সালে ওই মাদ্রাসায় চাকুরীতে যোগদানের ৩ বছর পর তার স্ত্রীও চাকরী পান। সেখানে চাকরীরত অবস্থায় ২০০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে চাকরী পান। এরপর থেকেই মাদ্রাসার শিক্ষকদের একটি অংশ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে বলে অভিযোগ। চলতি মাসের ২৩ এপ্রিল তাকে ও তার স্ত্রীকে মাদ্রাসা থেকে চাকুরি চ্যুতির ৩ দিন পর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম থেকেও অপসারন করায় অনেকেই বিষয়টিকে ভিন্ন চোখে দেখছেন।
অবশ্য বিষয়টিকে ভিন্ন চোখে দেখার সুযোগ নেই দাবি করে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওঃ রশিদ আহমাদ বলেন, কওমী মাদ্রাসার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করায় মুফতী মাসউদুর রহমানকে চাকুরি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
মুফতি মুহম্মদ ওয়াক্কাস বলেন, তাবলীগ জামাতের বিরোধীতাসহ নানা অভিযোগে মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
এদিকে করোনার কারনে মসজিদে নামাজ পড়ার শর্তারোপ থাকার পর শুক্রবার মুসল্লির উপস্থিতি বেশি থাকে। নামাজ শেষে মসজিদের প্রধান ফটকে মুসল্লিরা জড়ো হয়ে ইমামকে স্বপদে বহালে ৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের থানা কমিটির সেক্রেটারী ইবাদুল ইসলাম মনুর অনুরোধে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা শান্ত হন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here