মহেশপুরে নারী মাদক ব্যাবসায়িকে কুপিয়ে হত্যা

0
457

শহিদুল ইসলাম দইচ: ঝিনাইদহের মহেশপুরে রহিমা খাতুন রথি (২৬)নামে এক নারীকে গলা কাটা অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় মারা গেছে। নিহতের পরিবারের দাবী নান্টু এবং হৃদয় পূর্বশত্রতায় তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে। নিহতের লাশ এখন যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জাদবপুর ইউনিয়নের বেধ্যপুর গ্রামে। রথি ওই গ্রামের মোঃ রমজানের স্ত্রী এবং একই উপজেলার কৃশ্নপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের মেয়ে। নিহরেত মা অভিযোগ করে বলেন, মাস দুয়েক আগে আমার জামাই রমজানকে পুলিশের সোর্স নান্টু মাদক(ফেনসিডিল ) দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে এবং সে এখন জেলে আছে। এই নিয়ে ন্টাু এবং তার জেলে হৃদয়ের সাথে আমার মেয়ে ও জামাইয়ের বিরোধ ছিল। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আমার মেয়ে সেহেরি খাওয়ার জন্য ঘুমথেকে ওঠে। এসময় ওরা আমার মেয়ের গলার বাম পাশে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আমরা খবর পেয়ে রাতেই মেয়েকে উদ্ধার করে মহেশপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রথির অবস্থা আরও খারাপ হলে ডাক্তার তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৬টায় তার মৃত্যু হয়। এলাকার অপর একটি সুত্র জানায়, রমজান ও রহিমা এরা দুজনই এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যাবসায়ি। এরা একাধীকবার মাদকসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। পুলিশের সোর্স নান্টু ও তার ছেলে হৃদয় । এদের সাথে টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে আগে থেকে বিরোধ ছিল রথির ও তার স্বামীর। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন খান সার্জারী বিভাগের ডাক্তার শাহিন রেজার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ভোর ৫টার দিকে গলাকাটা অবস্থায হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রথির। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘন্টা দেড়েক পরে তিনি মারা যান। জানতে চাইলে মহেশপুর থানার ওসি মোঃ মোর্শেদ হোসেন খান বলেন, রহিমা নামে এক নারীকে গলায় কুপিয়েছে আমি জানি। কি কারনে কারা তাকে হত্যা করল পুলিশ বিষয়টি গভিরভাবে খতিয়ে দেখছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here