স্টাফ রিপোর্টার : পূর্ব শত্রুতা ও দ্বন্দ্বের কারনে শুক্রবার দুপুরে শহরের শংকরপুর ছোটনের মোড় নুরুন্নবী বস্তির কাছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আবু মুছা (২১) নামে এক রাজী মিস্ত্রীকে গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করে নগদ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৭জন সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জন উল্লেখ করে আহত যুবকের মাতা রাশিদা বেগম শুক্রবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন। আসামীরা হচ্ছে,শহরের শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার আকবারের ছেলে সাব্বির হোসেন,সোহরাবের ছেলে সজল,অসিমের ছেলে ফাইম, আলতু রহমানের ছেলে অনি,আনিছের ছেলে জিতু, কবির হোসেনের ছেলে বাধন ও টিপুর ছেলে রেজওয়ানসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।
শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী মোছা রাশিদা বেগম তার দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন, তার ছেলে আবু মুছা রাজ মিস্ত্রীর কাজ করে। আসামীরা এলাকার সন্ত্রাসী,তাহারা এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। তাদের সাথে আবু মুছার দ্বন্দ্ব ও শত্রুতার চলে আসছিল। তার কারনে আসামীরা আবু মুছাকে মারপিট খুন জখমের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গত শুক্রবার ১৫ মে দুপুর ১২ টার পর আবু মুছা নিজ বাসা হতে বের হয়ে সাড়ে ১২ টায় শংকরপুর ছোটনের মোড় নুরুন্নবী বস্তির সন্নিকোটে জনৈক হারুন এর পুকুরের পূর্ব পাড়ে পৌছালে উক্ত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে আসামী ফাইম এর পালসার মোটর সাইকেল যোগে অন্যান্য আসামীরা পায়ে হেটে হাতে ধারালো চাকু লোহার রড ও গাছিদাসহ আবু মুছার পথের গতিরোধ করে। সাব্বির হোসেন বার্মিজ চাকু দিয়ে আবু মুছার বাম পাজরে স্বজরে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। অন্যান্য আসামীরা ধারালো চাকু দিয়ে পর্যায়ক্রমে আঘাত করে। জিতু ও বাধন আবু মুছার কাছে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। আবু মুছার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আবু মুছাকে যশোর ২৫০ ময্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।