কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥ কেশবপুরে চেক ডিজঅনার ও হামলার বিরুদ্ধে মামলা করায় আসামী পক্ষরা উপজেলার টিটাবাজিতপুর গ্রামের দু’সহোদর হুমায়ুন ও মুকুলের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তোভেগি দু’সহোদর।
জানাগেছে, উপজেলার টিটাবাজিতপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ সরদারের পূত্র হুমায়ূন কবীর পেশায় একজন পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার। এলাকায় তাঁর যথেষ্ট সুনাম ও সম্মান রয়েছে। একই গ্রামের আনছার আলীর পূত্র সেলিম রেজা হুমায়ূন কবীরের সাথে প্রতিবেশি হিসাবে সু সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই সু-সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে সেলিম রেজা ১ মাসের কথা বলে হুমায়ূন কবীরের নিকট থেকে কোন প্রকার শিখিত ছাড়াই ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। ধারের টাকা ফেরত চাইলে সেলিম রেজা বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তীতে ০৯/০১২/২০১৮ তারিখে সেলিম রেজা হুমায়ূন কবীরকে অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড প্রতাপপুর শাখায় ০২০০০০৮৩৯৫৯০৬ নং সঞ্চয়ী হিসাবের বি-১৯২৮৮৪২ নং চেক প্রদান করেন। হুমায়ুন কবীর ১৯-০২-২০১৯ তারিখে অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড প্রতাপপুর শাখায় জমা দিয়ে দেখেন ঐ সঞ্চয়ী হিসাবে কোন টাকা নেই এবং চেকটি ডিজঅনায় হয়। পরবর্তীতে হুমায়ুন কবীর আদালতে সেলিম রেজার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করেন। মামলা করায় গত ০১-০৫-২০২০ তারিখে সেলিম রেজা ও তার সহযোগিরা হুমায়ুন কবীর ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হুমায়ুন কবীরের পরিবারকে উদ্ধার করেন। হুমায়ুন কবীর ও তার পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ০১-০৫-২০২০ তারিখে কেশবপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। যাহা ১৪৩/১৪৭/ ৩২৩/৩৭৯/৩৫৪/৪২৭/৫০৬//৩৪ ধারায় অর্ন্তভুক্ত হয়। থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে সেলিম রেজা ও তার সহযোগিরা হুমায়ুন কবীর ও তার ভাই মানুষ গড়ার কারিগর প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জান মুকুলের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করতে থাকে। তারা লিয়াকত আলীর কন্যা রোজিনা খাতুন এবং আবু সরদারের পূত্র ইলিয়াস হোসেনকে চাকুরী দেওয়ার নামে মোটা অংশের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মিথ্যা বিষয়, বাড়ি বিক্রয় করার নামে সেলিম রেজার নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার মিথ্যা বিষয়ে হুমায়ুন কবীর ও তার ভাই আসাদুজ্জান মুকুলের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এব্যাপারে রোজিনা খাতুন মোবাইল ফোনে জানান, চাকুরী সংক্রান্ত বিষয়ে হুমায়ুন কবীর ও আসাদুজ্জান মুকুলের নিকট আমি কোন টাকা পাবো না। অপরদিকে ইলিয়াস হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, আমি সাতক্ষীরায় আছি, আমি টাকার বিষয় বলতে পারবো না, আমার পিতা জানেন। টিটাবাজিতপুর গ্রামের দু’সহোদর হুমায়ুন কবীর ও আসাদুজ্জামান মুকুল জানান, গত ১৪-০৫-২০২০ তারিখে দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকায় ৩য় পাতায় “হুমায়ুন ও মুকুলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কেশবপুরের টিটাবাজিতপুর গ্রামের মানুষ” শিরোনামে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত হয়। চেক ডিজঅনার ও আমাদের উপর মামলার মামলা করায় সেলিম রেজা ও তার সহযোগিরা আমাদে বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এব্যাপরে সেলিম রেজা ও তাদের সহযোগিদের সকল ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তোভেগি টিটাবাজিতপুর গ্রামের দু’সহোদর হুমায়ুন কবীর ও আসাদুজ্জামান মুকুল।