যশোর অফিস : মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সদর উপজেলার কাশিমপুর মোল্যাপাড়ার এক বাড়িতে ১০ হাজার টাকা দাবি করার অভিযোগে স্থানীয় লোকজন চার প্রতারককে আটক করে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সোপর্দ করেছে। এরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার বীরনারায়ণপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শামসুর রহমান নিরব,ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে বিল্লাল হোসেন,মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে আব্দুল জব্বার ও লিয়াকত আলীর ছেলে তারিকুল ইসলাম।
সদর উপজেলার কাশিমপুর মোল্যাপাড়ার মৃত মানিক মোল্যার ছেলে শহিদুল ইসলাম শনিবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগে বলেন, তার বড় ভাই আব্দুল হাই সিদ্দিক একজন রেজিষ্ট্রার্ড কাজী। সে ভাইয়ের সাথে নিকাহ নামার কাজ করে। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ফুলবাড়ী গ্রামের জনৈক শহিদুল ইসলামের ছেলে লিটনের সাথে সদর উপজেলার কেফায়েত নগর গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে অব্ধলী খাতুনের বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে লিটন ঘর জামাই থাকার এক পর্যায় অব্ধলী খাতুনের মায়ের কাছে গরু কেনার টাকা দিলে তার দিয়ে গরু কেনার পর মেয়ের মা লিটনকে না জানিয়ে গরু বিক্রি করে বড় মেয়ের জামাইকে টাকা দেয়। বিষয়টি লিটন জানতে পেরে অঞ্জলীকে নিয়ে নিজের বাড়ি ফুলবাড়ী গ্রামে ওঠে। অঞ্জলীরমা অভিযোগ করেন তার মেয়েকে বাল্য বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাল্য বিয়ের দেওয়ার অভিযোগে শনিবার ১৬ মে উক্ত ৪ প্রতারক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে দুপুর সোয়া ২ টায় আসে। তারা খুলনা বিভাগীয় মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক পরিচয় দেয়। অঞ্জলীকে বাল্য বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় থেকে তারা তদন্ত করতে এসেছে। এর জন্য তাদেরকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে আইনগত ব্যবস্থার হুমকী দেয়। শহিদুল ইসলাম প্রতারণদ্বয়ের কাছে কার্ড দেখতে চাইলে তারা দেখাতে ব্যর্থ হলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উক্ত চারজনকে আটক করে। পরে তাদেরক স্থানীয় ফুলবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে রাতে তাদেরকে কোতয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে প্রতারণা মূলক চাঁদাদাবি পেনাল কোডে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার দুপুরে প্রতারণদ্বয়দের যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।#