নাসির আ্হমেদ,দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের মাঠ জুড়ে হলুদ সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ। আর এমন দৃশ্যের দেখা মিলছে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে। উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখীর চাষ। চলতি রবি মেীসুসে উপজেলায় ১৭ শত হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষাবাদ করা হয়। কম সময় আর স্বল্প খরচে ভালো লাভ পাওয়ায় চাষীরাও বেশ খুশি। সূর্যমুখীর নজরকাড়া সৌন্দর্য পুলকিত করে যে কাউকেই। সেই সাথে তেল হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। বলা হয়ে থাকে সয়াবিনের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল বেশি পুষ্টিগুনসম্পন্ন। আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়ায় এ ফুলের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এ কারণে উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশতাধিক চাষী এ ফুল চাষ করেছেন। মাঠ জুড়ে আছে ফুল।
উপজেলার কৃষকরা বলেন, সূর্যমুখী চাষ করতে খরচ কম আর লাভ বেশি। সামান্য রাসায়নিক সার আর দুইবার সেচ দিতে হয়। নভেম্বরে বীজ বপনের পর ৮৪ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তোলা যায় ফসল। অন্য ফসলের চেয়ে কম খরচ আর অধিক লাভ হওয়ায় এই ফুল চাষ করছেন অনেকেই। আগামীতে চাষের আগ্রহও প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের মোঃ মোহাম্মাদ হোসেন জানান, আমন ধান আবাদের পরে ডাল না লাগিয়ে সূর্যমূখীর চাষ করেছি। আর হয়েছেও ভালো ফলন।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বনি আমিন খান জানান, ধান চাষের পরে জমিতে সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে চাষাবাদ হচ্ছে সূর্যমুখী। তিনি আরও বলেন, তেল জাতীয় অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী বীজে তেলের পরিমানও বেশি। নজরকাড়া সৌন্দর্য, সেইসাথে তেল হিসেবেও সূর্যমূখীর ব্যবহার রয়েছে।