কামরুজ্জামান লিটন ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপার লক্ষনদিয়া গ্রামটি এখন অনেকের কাছেই সুপরিচিত। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এই গ্রামে আসনে একটি ব্যতিক্রম বাড়ি দেখতে। যে বাড়িটি গাছবাড়ি নামে পরিচিত। ১৪ বিঘা জমির উপর ৫ হাজার প্রজাতির গাছ দিয়ে সাজানো বাড়িটি। দুইতলা ভবনের ওয়ালগুলো গাছ দিয়ে মোড়ানো। ছাদেও আছে বড় বড় গাছ। বাড়ির আঙ্গিনায় মূল্যবান আর দূর্লভ সব গাছ শোভা পাচ্ছে। রাস্তার ধার দিয়ে লাগানো বনজ গাছগুলো নজর কাড়ে। এমনকি বাড়ির পায়খানার ট্যাংটিও গাছ দিয়ে সাজানো। যা সকলের নজর কেড়েছে। এই গাছবাড়ি লক্ষনদিয়া গ্রামের মৃত গোলাম কওছার আলীর ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলামের। তিনি ঢাকায় বসবাস করলেও তার হৃদপিন্ডটা পড়ে আছে লক্ষনদিয়ায়। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের শৈলকুপার চাঁদপুর নামক স্থান থেকে আনুমানিক ৪ কিলোমিটার পূর্বে গেলেই লক্ষনদিয়া গ্রামটির দেখা মিলবে। গাছবাড়ির মালিক ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রামের নারীদের দিয়ে সুচ শিল্পের (কাপড়ে নকশা তোলা) কাজ করানোর প্রয়োজনে ২০১৪ সাল সুই সুতোর কাজ করতে পচ্ছন্দ করেন। এতে তার নির্মান করা বাড়িটি অকেজো হয়ে যায়। আর তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই বাড়িটিতে গাছের সংগ্রহশালা তৈরী করবেন। গাছের সংগ্রহশালা করতে গিয়ে পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জমির সঙ্গে তিনিও জমি কিনে এভাবে ১৪ বিঘা জমির উপর গাছের সংগ্রহশালা গড়ে তোলেন। তার বাড়িতে বেলজিয়াম, পর্তূগাল, মালয়েশিয়া, ভারত, দুবাইসহ একাধিক দেশ থেকে গাছ নিয়ে লাগানো হয়েছে। আমিনুল ইসলামের ভাষ্যমতে বর্তমানে তার বাড়িতে প্রায় ৫ হাজার গাছ রয়েছে। প্রতি মাসেই এই গাছের সংখ্যা বাড়ছে। তিনি ঢাকা থেকে প্রতি মাসে বাড়িতে আসলেও অন্তত একটি করে গাছ সঙ্গে আনেন। বাড়িতে রিটা, নাগলিংগম, এ্যামাজিন, লিলি’র মতো মুল্যবান গাছ রয়েছে। আবার রয়েছে দেশিয় ষড়া গাছ। যে গাছটি জঙ্গলে হয়ে থাকে, সেটা তিনি এই বাড়িতে লাগিয়ে সুন্দর করে রেখেছেন। এছাড়া বাড়িটির ওয়ালে ‘ওয়াল কার্পেট’ নামের গাছ দিয়ে মোড়ানো রয়েছে। গোটা বাড়ির চারিপাশে ৫ শত চারা রোপন করেন। যা পরবর্তীতে গোটা ওয়াল ঘিরে রেখেছে। আমিনুল ইসলাম জানান, তিনি সেফটি ট্যাংকটাও গাছ দিয়ে সাজিয়েছেন। সেখানে বসে মানুষ ফুলের ঘ্রান উপভোগ করেন, কিন্তু বুঝতে পারেন না নিচেই রয়েছে দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা। আমিনুল ইসলাম জানান, তিনি এই সংগ্রহশালায় হারিয়ে যাওয়া সব গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া অনেক গাছ তিনি লাগিয়েছেন। আমিনুল ইসলামের স্ত্রী সিন্ধা ইসলাম, ছেলে মায়জাবিন আমিন, মেয়ে আনুশকা বিনতে আমিনকে নিয়ে তার সংসার। ব্যবসার প্রয়োজনে ঢাকায় থাকেন। গাছের পরিচর্চা করার জন্য নিয়মিত তিনজন কৃষি শ্রমিক আছেন। আমিনুল জীবনে যা আয় করছেন তার একটা বৃহৎ অংশই গাছের পেছনে ব্যয় করেন বলে জানান। ওই বাড়িতে কাজ করা কৃষি শ্রমিক জিন্না আলম জানান, গাছগুলো স্যারের জীবনের অংশ। তিনি এগুলো সন্তানের মতো মানুষ করেন। এই গাছের মধ্যে থেকে আমারাও গাছগুলোকে ভালবেসে ফেলেছি।
মোংলায় শত বছরের পরত্যাক্ত খাল দখল, দুষনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উদ্ধার অভিযান
মোংলা প্রতিনিধি : মোংলায় শত বছরের পরিত্যাক্ত অবস্থায় থাকা শহরের প্রান কেন্দ্রের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঠাকুরানীর খাল দখল ও দুষনের বিরুদ্ধে উদ্ধার...
ঝিনাইদহের সাবেক এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী তিন দিনের রিমান্ডে
এম এ কবীর,ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল...
নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর সেতুর নির্মাণ কাজ তিন দফায় সময় বেড়েছে
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়ায় পড়ে থাকা নবগঙ্গা নদীর ওপর বারইপাড়া সেতুর নির্মাণ কাজ। নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীর ওপর বারইপাড়া সেতুর নির্মাণ কাজ তিন...
ফকিরহাটে ২০০পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারী গ্রেপ্তার
মেহেদী হাসান বাগেরহাট : বাগেরহাটের ফকিরহাটে ২০০ পিস ইয়াবাসহ দুইজন মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় উপজেলার কাটাখালী...
শ্যামনগরে প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক...