নাসির আহমেদ,দশমিনা (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় চলতি মৌসুমে রবি ফসল মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘূর্নিঝড় আম্ফান ও কাল বৈশাখীর ঝড়ের কারনে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কৃষকরা আশায় বুক বাঁধলেও সে আশা ঝড়ের কারনে নিমিষেই ম্লান হয়ে গেছে। ঝড়ে পরবর্তী ফসলি জমিতে পানি জমে থাকায় কৃষকরা রবি শস্য ঘরে তুলতে পারেনি। ফলে তাদের লোকসানের মুখে পরতে হচ্ছে।
উপজেলা সদর ছাড়াও প্রায় অর্ধ শতাধিক চরাঞ্চলে প্রান্তিক কৃষকরা মুগডালের ব্যাপক চাষ করেছে। ফলে কৃষকের মুখে হাসির পাশাপাশি নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এবং চরাঞ্চলের আবাদি ও অনাবাদি জমিতে কৃষকরা বাড়তি লাভের আশায় ব্যাপকভাবে মুগডালের চাষ করেছে। ফলে উপজেলায় মুগডালের চাষাবাদে সবুজ বিপ্লব ঘটেছে।
অত্র উপজেলার মাটি নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় রবি ফসল চাষাবাদের জন্য বেশ উপযোগী। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে অসংখ্য খাল ও নদী বয়ে গেছে। এই অঞ্চলে নদী বিধৌত পলিমাটি জমিকে উর্বর করছে। ফলে অত্র অঞ্চলে রবি শস্যসহ অন্যান্য ফসলের ফলন ভাল হয়। মাঠের পর মাঠ ছেয়ে গেছে মুগডালের আবাদ। ফসলের বাম্পার ফলন ও ন্যায্যমূল্য পাবার আশায় কৃষকদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্র থেকে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার কৃষকরা লোকসান কমাতে ও অধিক লাভের আশায় মুগডাল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এই ডাল আবাদ করলে মাত্র দুই মাসের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মুগডালের ফলন ভাল হয়েছে। কৃষকরা জানায়, এই ডাল আবাদ করার পর একটু পরিচর্যা করলেই ভাল ফলন পাওয়া যায়। মৌসুমের শেষ সময়ে মুগডালের ফলন ভাল হওয়ায় নতুন করে বাচার স্বপ্ন দেখছে। ইতিপূর্বে কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পেঁয়াজ, রসুন, আলু, সরিষা, মরিচ, মসুর, কলাইসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করে যুরে দাড়ানোর চেষ্টা করেছিল।