চুকনগরে মার্কেট গুলোতে নির্দেশনা অমান্য করে উপচে পড়া ভিড়।

আব্দুল কুদ্দুস চুকনগর : ডুমুরিয়া উপজেলার বানিজ্যিককেন্দ্র চুকনগরের মার্কেট গুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। মানা হচ্ছেনা সরকারি নির্দেশনা। ঘরে থাকতে বললে খাবার নেই, মার্কেটে গেলে টাকার অভাব নেই এমনই চিত্র দেখা গেল ডুমুরিয়ার বানিজ্যিককেন্দ্র চুকনগরের মার্কেটগুলোতে। জানা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসেই পর্যায়ক্রমে সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। মার্চ মাসের ৮ তারিখে বাংলাদেশে ধরা পড়ে প্রথম করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে দেশে লকডাউন চালু করে সরকার। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বেড়োনোর জন্য নির্দেশনা জারি করে সরকার। এ সময় মানুষেরা বলতে লাগলো ঘরে থাকবো খাব কি ? ঘরেতো খাবার নেই। অথচ সিমিত আকারে মার্কেট খুলার সংবাদ শুনেই মানুষের মনে আনন্দের বন্যা বইতে লাগলো। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্বের তোয়াক্কা না করে ধুমছে চলছে মানুষের কেনা কাটা। চুকনগরের মার্কেটগুলোতে মানুষের ঢল দেখেই বোঝা যায় যে এদের টাকার কোন অভাব নেই।
সামাজিক দুরত্ব, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবহার সম্পর্কে চুকনগর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দোকানের ভীতর আসতে বলছি কিন্তু ক্রেতারা শুনছেনা। আমরা কি করবো।
ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব দাশ বলেন, চুকনগর বাজার ব্যাবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ চুকনগর বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করেছি। ব্যাবসায়ীদেরকে সরকারি সকল বিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যান্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাজারে মাইকিং করা হয়েছে। এতো কিছুর পরেও যদি ব্যাবসায়ীরা সরকারি নির্দেশনা মেনে না চলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।