নড়াইল জেলা প্রতিনিধি : নড়াইলে সজীব বালা নামে ১০ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের বেতেঙ্গা গ্রামে। আহত স্কুলছাত্র সজীব বালা( ১৬) বেতেঙ্গা গ্রামের নৃপেন বালার ছেলে। গুরুতর সজীব বালার এলাকার সূত্রে জানা গেছে সে বর্তমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। হাটা চলাফেরা ও কথা বলার শক্তিটুকুও হারেতে বসেছে। আহত সজীব বালার( ১৬) পরিবারের ও স্থানীয় এলাকার লোকমুখের সূত্রে জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনায় তর্ক বিতর্কের মধ্যে দিয়ে গত সোমবার (২৫ মে) দুপুরের পরে আনুমানিক ১টার সময় প্রতিবেশি শিমুল বিশ্বাস, চিন্ময় বিশ্বাস (হাবু) ও তার বাবা লেলিন বিশ্বাস হঠাৎ এসে কিছু বুঝে ওঠার আগে লাঠি সোটা রডদিয়ে বেধড়ক ভাবে মারপিট করে সজীব বালাকে। এতে করে মারাত্মক জখম হয়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন ও আসপাশের লোকের সহযোগিতায় মারাত্মক রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সজীবকে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে আসলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ভর্তি করা হয়। কিছু সময় পরে অবস্থার অবম্নতি হলে তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ড করা হয়।
গত মঙ্গলবার (২৬ মে) দোষীদের বিরুদ্ধে নড়াইল সদর থানায় একটি এজহার দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয়রা আসপাশের লোকের কাছে জানা যায় চিন্ময় বিশ্বাসের স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা মেয়ে টুম্পা বিশ্বাস (১৫) তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। এবং আহত সজীব বালা (১৬) একই বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্র,ও একই পাড়ায় বসবাস। সেই সুবাদে একসাথে স্কুলে যাতায়াতের মধ্যে দিয়ে ভালোবাসার বা প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠে । তাদের এ সম্পর্কের ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে পারিবারিক ভাবে বিসয়টা মেনে নিতে না পারায় চিন্ময় বিশ্বাস, তার ভাই শিমুল বিশ্বাস এবং তার ছেলে লেলিন বিশ্বাস পরিকল্পিত ভাবে সজীব বালার উপর এই বর্বরোচিত হামলা সন্ত্রাসী হামলা করেছে। শুধু তাইই নয় আহত সজীব বালার বাড়িতে গিয়ে মারধর শুরু করে।
এ সময় সজীব বালা মার খাওয়া অবস্থায় দৌড়ে পালানোর সময় রাস্তার উপর পড়েগেলে ওই সন্ত্রাসীরা রড,বাঁশ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারতে থাকে ও এক পর্যায়ে মৃত ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তাদেরও খারাপ ভাবে গালমন্দ করে। এদিকে এদিকে টুম্পা বিশ্বাসের পরিবারের দাবি টুম্পাকে সজীব রাস্তা ঘাটে ও মোবাইলে উত্যক্ত করে।
তাই এই মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে সজীব বালার পরিবারের বক্তব্য অন্যরকম। তারা বলছে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিন্ময় বিশ্বাসের ভাই রাজিব বিশ্বাসের নির্দেশে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সজীবকে হত্যার জন্যই এ হামলা চালিয়েছে। সংবাদ পেয়ে ওই এলাকার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই বরুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । এবং উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ জানিয়েছেন, যেহেতু বিসয়টা নিয়ে ভুক্তভোগী নড়াইল সদর থানায় এজহার করেছেন তাই আইনি ব্যাবস্থায় বিচার হওয়া উচিৎ। তবে এলাকার মানুষ শান্তি শৃঙ্খলার লক্ষে দন্দ সংঘাত না করে আহত সজীব কে চিকিৎসা করা প্রয়োজন বলে মনে করেছেন। এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বিকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি মুলক ব্যাবস্থা গ্রহন অব্যাহত আছে ।