নড়াইলে বয়স্ক ভাতা বঞ্চিত বৃদ্ধার পাশে নাম দাঁড়ালেন ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী

0
412

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি : নড়াইলে বয়স্ক ভাতা বঞ্চিত বৃদ্ধার তৃষ্ণা কুন্ডু পাশে নাম তৃষ্ণা কুন্ডু দাঁড়ালেন ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রশান্ত সাহা। নড়াইলে ৮০ বছরবয়স্ক ভাতা বঞ্চিত বয়সী এক বৃদ্ধা বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বিষয়টি অবিশ্বাসযোগ্য মনে হলেও এমনটিই ঘটেছে নড়াইলের সদর উপজেলাধীন ৮নং কলোড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত বাহিরগ্রামে। ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম তৃষ্ণা কুন্ডু। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনকে টাকা না দিতে পারায় তিনি বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শুধু ওই বৃদ্ধায় নয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনকে টাকা না দিতে পারায় এরূপ অনেক বৃদ্ধায় বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। বহু বছর পূর্বে তৃষ্ণা কুন্ডু বাংলাদেশের কোনো এক প্রান্ত থেকে এসে বাহির গ্রামের কুন্ডুপাড়ার কালীবাড়িতে আশ্রয় নেয়। তখন থেকেই তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বয়স্ক হওয়ার দরুণ এলাকাবাসীর তার উপর মায়া তৈরি হয়। সেই সুবাদে স্থানীয়দের বাড়ি থেকে সংগৃহিত খাবার খেয়ে বেঁচে আছেন তিনি। বিভিন্ন পূজা পার্বনে এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিরা তাকে শাড়ি-কাপড়ও দান করেন। সেই থেকে এলাকাবাসীর সাথে তার নাড়ির টান তৈরি হয়ে গেছে। সরেজমিন অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, তৃষ্ণা ম-ল ঠিকমতো কানে শুনতে পান না। থাকেন মন্দিরের কোণায় জীর্ণশীর্ণ অবস্থায়। গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে জড়ো হয় এলাকাবাসী। একেক করে সবাই বলতে থাকেন তৃষ্ণা কুন্ডুর দুঃখ-দুর্দশার কথা। অথচ আনোয়ার মেম্বারের চাহিত সামান্য ২০০০ টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এই বৃদ্ধা নাকি এখনও বয়স্ক ভাতার কার্ড পাননি। আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়া যায় এমনও প্রশ্নও করে বসেন কেউ কেউ।
উজ্জ্বল রায়ের সংগৃহিত তথ্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ ফলাউ করে খবর প্রকাশিত হয়। এই খবরটি চোখে পড়ার পর ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রশান্ত সাহার অন্তর কেঁদে ওঠে। তিনি উজ্জ্বল রায়ের সাথে যোগাযোগ করে তৃষ্ণা কুন্ডুর ভরণপোষনের দায়িত্ব নিতে চান। কিন্তু এলাকাবাষী তৃষ্ণা কুন্ডুকে ছাড়তে রাজি না হওয়ায় প্রশান্ত সাহা তাকে এককালীন নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও পরবর্তীতেও তৃষ্ণা কুন্ডুকে সহায়তা করবেন বলে জানান।
প্রশান্ত সাহার কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে তৃষ্ণা কুন্ডুর হাতে তুলে দেন সাংবাদিক উজ্জ্বল রায়। এ সময় তার সাথে ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সমাজের কাগজের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি বুলু দাস, দৈনিক ভোরের বাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক জাহাঙ্গীর শেখসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এসময় অর্থ সহায়তা পেয়ে তৃষ্ণা রানী জানান, এলাকাবাসীর ভালোবাসায় এখনো আমি বেঁচে আছি। কিন্তু একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড পেলে ওষুধপত্র ক্রয়সহ মৌলিক চাহিদা গুলি মেটানো সম্ভব হতো। এ কারণে তার নামে একটি বয়স্ক ভাতা কার্ড বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ডিসির কাছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here