স্টাফ রিপোর্টার : যশোর বাঘারপাড়ার জহুরপুর খবির-উর-রহমান কলেজের নৈশ্য প্রহরী ও তার পিতাকে কুপিয়ে হত্যা ”েষ্টার অভিযোগে কলেজের সভাপতি ও তার ভাই চেয়ারম্যান দিলু পাটোয়ারিসহ ১১ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার নৈশ্য প্রহরী রিপনের পিতা আবু বক্কার বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
আসামিরা হলো কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নরসিংহপুর গ্রামের নুর মোহাম্মাদ পাটোয়ারি ও তার ভই জহুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ পাটোয়ারি দিলু, হিঙ্গারপাড়ার গ্রামের মৃত মোকাম বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর রহমান খোকন, মৃত ওমর বিশ্বাসের ছেলে এমদাদ, উত্তর চাঁদপুর গ্রামের সরোয়ারের ছেলে শিপন, হুলিহট্ট গ্রামের মৃত সোবহান মন্ডলের ছেলে জিয়া, নাজমুল হুদার ছেলে মাসুদ, বেতালপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিমুল মৃত মোকছেদ মোল্লার ছেলে হারুন নাপিত,মাঝিয়ালী গ্রামের ওসমান বিশ্বাসের ছেলে ইতয়ার রহমান ও বদর ওরফে বেড়ে বদরের ছেলে সেলিম হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামির এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। গত ৩০ মে সকালে আসামিরা কলেজের নৈশ্য প্রহরী রিপনকে ডেকে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিতে বলে। কলেজের অধ্যক্ষকে না জানিয়ে তিনি ভবনের তালা খুলতে পারবেন না বলে তাদের জানিয়ে দেন। এতে তারা রিপনের উপর ক্ষিপ্ত হয়। গত ২ জুন সকালে কলেজের নতুন ভবনের কাজ করার জন্য ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার আসেন। এসময় অধ্যক্ষ সাথে থাকায় রিপন প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেন। কাজ শেষে ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার চলে গেলে কলেজের সভাপতি নুর মোহাম্মদ ও তার ছোট ভাই দিলু চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে কলেজ মাঠে আসেন। এসময় সভাপতি ও তার ভাই দিদুল নৈশ্য প্রহরীকে ভবনের তালা খোলার কৈফত চায়। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সভাপতি ও তার ভাই দিলু প্রথমে রিপনকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। এরমধ্যে রিপন দৌড় দিলে আসামিরা তাকে ধরে বেদম মারপিট করে। রিপনকে ঠেকাতে গেলে তার পিতা আবু বক্কারকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয় আসামিরা। পরে স্থানীয়রা এগিলে আসলে আসামিরা চলে যায়। গুরুতর আহত রিপন ও তার পিতাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ্য হয়ে বুধবার বাঘারপাড়া থানায় আহত রিপনের পিতা আবু বক্কার এ মামলা করেন।