নাসির আহমেদ, দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ৪টি ইউনিয়নে নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা বিলীন হচ্ছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া,দশমিনা,রনগোপালদী এবং আলীপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে নদীর এই ভাঙন নতুন করে দেখা দিয়েছে। এদিকে আলীপুরা ইউনিয়নের আলীপুরা নদীতে ভাঙনের মাত্রা তীব্র আকার ধারন করেছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ন এলাকা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। নদীর ভাঙনে স্লুইজগেট বাজার এবং হাজীরহাট বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের আলীপুরা নদীতে হঠাৎ করেই নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার আশেপাশের আবাদি-অনাবাদি ও বসতঘর নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে। বাঁশের অস্থায়ী পাইলিং দিয়েও নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। নদীর অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার নদী তীর রক্ষা বাঁধের ৬ কিলোমিটারের মধ্যে ২ কিলোমিটার নদীর মধ্যে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট রক্ষাবাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
নদীর পানি বৃদ্ধি এবং প্রবল চাপের কারনে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঘূর্নিঝড় রোয়ানু’র আঘাতের পর থেকেই অত্র ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর, পশ্চিম আলীপুর, চানপুরা, খলিশাখালী বিভিন্ন এলাকায় নদীর ভাঙনের মাত্রা তীব্র আকার ধারন করেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার শত শত পরিবারের আবাদি-অনাবাদি জমি, বসতভিটা নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার একমাত্র ২টি লঞ্চঘাট বাঁশবাড়িয়া এবং হাজীরহাট নদী গর্ভে বিলনি হয়ে গেছে। নদীর ভাঙন ঠেকাতে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। অত্র উপজেলায় নদীর ভাঙন ঠেকাতে কোন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়নি। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও নদীর তীর ও সংলগ্ন এলাকা রক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না।
এই ব্যাপারে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন,নদীর ভাঙন রোধ কল্পে ইতিমধ্যে ব্লক নির্মানের কাজ করা হচ্ছে। তবে ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে ব্লক নির্মান সহ বাঁধ নির্মান করা প্রয়োজন।