সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সীমান্তে মাদক পাচার ও চোরাচালান আশংকা জনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ মাদকপাচার, স্বর্ণ হুন্ডি ও গার্মেন্টস সামগ্রি পাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্ত রক্ষী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে এ সব পণ্য পাচার করে করে নিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের গয়েসপুর, শ্রীরামপুর, বৈকারি, কাথন্ডা, ঘোনা সীমান্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে মাদক পাচার ও চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীরা সীমান্ত রক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব পাচার করে নিয়ে আসছে। গয়েশপুর গ্রামের ফজর আলী, শফিকুল ইসলাম, কুরবান আলী জানায়, তাদের গ্রামের মৃত.অজিত সাহার পুত্র রফিকুল, শ্রীরামপুর কুলতলি গ্রামের মৃত. হামিজ উদ্দীন গাজীর পুত্র জোহর আলী, গয়েশপুর গ্রামের আতিয়ারের পুত্র মিস্টার আলী, শ্রীরামপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে রমজান আলী, দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা, ফেন্সিডিল গাজা এনে বিক্রয় করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, চোরাকারকারি ও চোরাচালানি ঘাট মালিকরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম করে মাদক পাচারকারী ও চোরাকারবারিদের নাম করে অর্থ আদায় করে থাকেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এ বিষয়ে শিকার করেছেন। গয়েশপুরের রফিকুল, মিস্টার আলী, শ্রীরামপুরের জোহর আলী ও রমজান আলীকে অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় আমরা কোন মাদক ব্যবসা করি না। এলাকায় দলাদলির কারণে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে।
বৈকারি সীমান্তে মৃত গোলাম রহমানের ছেলে আবুল বিজিপিবি’র সোর্স হিসেবে থেকে ভারতীয় মাদক ও ভারতীয় পণ্য বৈকারির আফজাল হোসেন, আবুল হোসেন, কাথন্ডা গ্রামের কওছার আলী জানায়, আবুল বৈকারি বিজিবি’র এফএস এর সাথে থাকে। সুযোগ বুঝে মাদক ও চোরাচালানী পণ্য পাচার করে দেয়। আবুলের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।
এদিকে পদ্ম শাখরা, ভোমরা, ঘোনা, বৈকারি, কুশখালী, চারাবাড়ি সীমান্ত পথে ইয়াবা ফেন্সিডিল পাচার হয়ে আসছে। এক শ্রেণির চোরাকারবারিরা স্বর্ণ ও হুন্ডি পাচারের সাথে জড়িত বলেও একাধিক অভিযোগ আছে।