নড়াইলে বনের পাখিদের জন্য ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা

0
383

নিজস্ব প্রতিবেদক : সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানুষ ও পাখি পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। মানুষ ছাড়া পাখি বা পাখি ছাড়া মানুষ কল্পনা করা যায় না। এই ধরণীকে সুন্দর করে সাজাতে, সুন্দর করে বাঁচিয়ে রাখতে নিরবে নিভৃতে অবদান রেখে চলেছে আমাদের পক্ষিকুল। আমাদের খাদ্য, রোগ মুক্তির পথ্যসহ কত না বিষয়ে অকাতরে অবদান রেখে চলেছে তারা, তারা অবদান রাখছে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়। পাখি যেমন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে তেমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৃদ্ধি করে। পাখি সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান। পাখি একদিকে মানুষের সৌন্দর্য পিপাসা মেটায় অন্যদিকে কলকাকলিতে আনন্দ মুখর করে রাখে প্রকৃতিকে। বাংলাদেশের অপরূপ প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার পাখি। এদের মিষ্টি সুর আমাদের মুগ্ধ করে। ভোরে ঘুম ভাঙ্গা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানো পর্যন্ত এদের কলকাকলি শোনা যায়। এক কথায় পাখি হয়ে গেছে আমাদের পরিবেশের জন্য চরম এক অনুসঙ্গ। পাখির প্রতি আছে আমাদের গভীর ভালোবাসা। এই ভালোবাসা থেকেই কবিদের কবিতায় পাখি উঠে এসেছে বারবার। এদেশের অসংখ্য কবি সাহিত্যিকগণ মনের মাধুরী মিশিয়ে পাখি নিয়ে লিখেছেন অনেক মুগ্ধকর আর প্রাণস্পর্শী কবিতা। যা আমাদের কবিতার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। এই সমৃদ্ধতার সোনালী রাস্তায় যার কথা শ্রদ্ধার সাথে করা যায় তিনি বাংলা সাহিত্যের নোবেলবিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি পাখি নিয়ে লিখেছেন চমৎকার কবিতা। যেমন-খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাচাঁটিতে বনের পাখি ছিল বনে। একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে, কি ছিল বিধাতার মনে। বনের পাখি বলে, খাঁচার পাখি ভাই, বনেতে যাই দোহেঁ মিলে। খাচারঁ পাখি বলে বনের পাখি, আয় খাচাঁয় থাকি নিরিবিলে। বনের পাখি বলে না, আমি শিকলে ধরা নাহি দিব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here