কালিয়ার কাঞ্চনপুর খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

0
439

কালিয়া ( নড়াইল) প্রতিনিধি ঃ করোনা পরিস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে নড়াইলের কালিয়া-কাঞ্চনপুর খেয়া ঘাটে যাত্রী পারাপারে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নির্ধারিত ভাড়া জনপ্রতি ভাড়া ৫ টাকার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ১০ টাকা, মোটরসাইকেল সহ ২০ টাকার স্থলে ৪০/৫০ টাকা, আদায় করা হচ্ছে। বাড়তি কোন মালামাল থাকলে গুনতে হচ্ছে তাদের ইচ্ছানুযায়ী বাড়তি অর্থ। এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য মঙ্গলবার (৯ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালিয়ার কাঞ্চনপুর খেয়া ঘাটে সরকারের নিয়মনীতি অমান্য করে সামাজিক দুরত্বের তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার করছে। এছাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা যায়।রাতে যাত্রী পারাপারে ব্যক্তি দেখে ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কালিয়ার বৃহাচলা গ্রামের বাবর আলী বলেন , আমি এ ঘাট দিয়ে নড়াইল আমার কোম্পানীর কাজে মটর সাইকেল যোগে আসা যাওয়া করি ,আগে ২০ টাকা খেয়া ভাড়া নেয়া হতো। কিন্তু এখন আমার কাছ থেকে ৪০ টাকা ভাড়া নিয়েছে।ভাড়া বেশি নেওয়ার কারন জানতে চাইলে বলেন করোনার জন্য ভাড়া বেশি দিতে হবে । অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের সাথে অশোভন আচারন করে। আমরা এ সমস্যার আশু সমাধান চাই। বাবর আলীর সাথে জগলু ,হায়দার করিম ,হাচিবুর রহমান সহ একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন আমরা প্রতিদিন কাঞ্চনপুরখেয়াঘাট পার হই, আমাদের কাছথেকে ও অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন রকম গালিগালাজ করে । আমি এ সমস্যার আশু সমাধান চাই ।জানা যায়, সরকার নির্ধারিত টোলরেট অনুসারে খেয়া পারাপারে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় যাত্রী প্রতি ভাড়া ৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা, বাই সাইকেল ৪ টাকা। ছাগল, ভেড়া ৪ টাকা, গরু এবং মহিষ ১০ টাকা, বিভিন্ন মালামাল ৪০ কেজি পর্যন্ত ৩ টাকা এবং রিক্সা-ভ্যান ৬ টাকার টোলচার্ট করা হয়। আর এ টোলচার্ট প্রতিটি খেয়াঘাটের দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি এইসব নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে দু’তিনগুণ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে কাঞ্চনপুর খেয়াঘাটের মাঝিরা। এ বিষয়ে ইজারাদার মোঃ মহব্বত শরীফ বলেন, আমি মাঝিদের বলে দিয়েছি অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে, আমার কথা অমান্য করে বেশি ভাড়া আদায় করতে পারে। এ বছর আয়কর সহ ৯,১৩৪৬৫/= টাকা দিয়ে খেয়াঘাট ডেকে এনেছি, প্রতিদিন আমাকে ৪,০০০/= টাকা দেওয়ার চুক্তিতে আমি মাঝি রবিউল, ওমর ও অন্যান্য মাঝিদের টাকা আদায়ের অনুমতি প্রদান করি । তাদের অতিরিক্ত ভাড়া নিতে আমি নিষেধ করি । এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে আমি শুনেছি। সুনিদির্ষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here