চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি ॥ যশোরের চৌগাছায় আবারও জে-লাইনের একটি নৈশ কোচে যার নম্বর ঢাকা মেট্্েরা-ব-১৫-১৪০৩ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের জিসিবি আদর্শ কলেজ সংলগ্ন সড়কে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ ডাকাত দল সড়কের উপর বিদ্যুতের খুটি ফেলে ডাকাতি করেন। এ সময় নৈশ কোচসহ বেশ কিছু বাহনের যাত্রী ও চালকদের কাছ থেকে নগদ টাকা মোবাইল ফোন সেটসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা।
জে-লাইন পরিবহনের চালক বিপ্লব হোসেন জানান, রাত আনুমানিক ২ টার দিকে তারা ঘটনাস্থলে পৌছায়। এসময় তিনি দেখতে পান সড়কে বেশ কিছু ট্রাক ও আলমসাধু জমা আছে। তার পরিবহন দাড়ানো মাত্রই একদল ডাকাত পরিবহনে উঠে সকলকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে চলে যায়। পরিবহনের যাত্রী উপজেলার আড়পাড়া গ্রমের ফয়েজ আলীর ছেলে আজিজুর রহমান জানান, ডাকাতরা তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ১০ হাজার টাকাসহ মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। একই অবস্থা অন্যান্য যাত্রীদের বেলায় ঘটেছে বলে তিনি জানান। নৈশ কোচ, আলমসাধু ও ট্র্রাকের চালক হেরপার এবং যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, চৌগাছা-মহেশপুর সড়কে ডাকাতির ঘটনা নতুন নই। এই সড়কটিতে নিয়মিত ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। পুলিশও টহল দিচ্ছে, তার ভিতরে কেন ডাকাতি হচ্ছে এই প্রশ্ন সকলের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দুই ঘন্টা ধরে ডাকাতরা তাদের তান্ডব চালায়। ডাকাতদের কাজ শেষ, তারা চলে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হয়।এদিকে চৌগাছা থেকে বেশ কিছু পরিবহন ঢাকার উদ্যোশে নিয়মিত ছেড়ে যায়। কিন্তু প্রায়ই জে-লাইনের পরিবহনে ডকাতির ঘটনা ঘটছে, যা যাত্রী সাধারনসহ সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে। কেন একের পর এক জে-লাইনে ডাকাতি হচ্ছে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সর্ব মহলে। এ বিষয়ে জে-লাইন চৌগাছা কাউন্টারে দায়িত্বরত মিজানুর রহমান মিজান জানান, তিনি অল্প দিন হলো জে-লাইন পরিবহন কাউন্টারের দায়িত্ব নিয়েছেন। ডাকাতির ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান। থানা অফিসার ইনচার্জ রিফাত খান রাজিব ডাকাতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপকর্ম করে কেউ রক্ষা পাবেনা। ওই রাতে যারাই ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা আটক হবে বলে তিনি মনে করেন।