পল্লী বিদ্যুতের এজিএম ও এনজিও কর্মী করোনা আক্রান্ত

0
391

মোঃ মেহেদী হাসান, মণিরামপুর : যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (মণিরামপুর) সদর দপ্তরের রাজগঞ্জ উপকেন্দ্রের এজিএম রফিকুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একই সাথে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন জিয়াউর রহমান নামে এক এনজিও কর্মী। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকালে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে এমন তথ্য আসে। এরআগে মণিরামপুরে সর্বশেষ করোনা রোগী ধরা পড়ে গত ২৫ মে। আক্রান্ত দুই জনের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ছয় মাস ধরে রাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত আছেন। আর জিয়াউর রহমান চাঁদপুর জেলায় একটি এনজিওতে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার কাশিপুর গ্রামে। কর্মস্থলে থাকতেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সেখানে নমুনা দেন। ফলাফল না পেয়ে তিনি মণিরামপুর হাসপাতালে এসে আবারো নমুনা দেন। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডা. শুভ্রা বলেন, গত ৭ জুন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন রাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম রফিকুল ইসলাম। একই দিন কাশিপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান নামে এক এনজিও কর্মী হাসপাতালে আসেন। ওই দিন তাদেরসহ ছয় জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। আজ (বৃস্পতিবার) দুই জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। ডা. শুভ্রা বলেন, আক্রান্ত এজিএম রফিকুল ইসলাম ও এনজিও কর্মী জিয়াউর রহমান দুই জনই এখন সুস্থ আছেন। তারা নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেবেন। পল্লী বিদ্যুতের আক্রান্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, হাসপাতালে নমুনা দেওয়ার পর থেকে আমি বাসায় আলাদা কে থাকছি। জ্বরের পর ৮ জুন কিছুটা কাঁশি ছিল। এখন সুস্থ আছি। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (মণিরামপুর) সদর দপ্তরের পরিচালক অরুন কুমার কু-ু বলেন, হাসপাতালে নমুনা দেওয়ার দিন থেকে এজিএম রফিকুল ইসলাম বাসায় কোয়ারেন্টাইে আছেন। তার স্থানে অন্য লোক দেওয়া হয়েছে। এই মূহুর্তে রাজগঞ্জ উপ-কেন্দ্র লকডাউনের কোন সিদ্ধান্ত নেই। এই পর্যন্ত মণিরামপুরে ১৯০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তারমধ্য ১৩ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। যাদের অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here