নারী পুরুষেরা সাতার দিয়ে খালপার, নোড়ারচক এলাকার নবতরণের ও পলগাদা এলাকার ফজলু শেখের বাড়ী সংলগ্ন সাপমারা খালের উপর দিয়ে পারাপারের একটি সাকোর প্রয়োজন

0
427

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের নোড়ারচক এলাকার মৃত্যু রবীন্দ্র মিস্ত্রীর পুত্র নবতরণ মিস্ত্রী। পলগাদা গ্রামের ফজর আলীর পুত্র ফজলু শেখ।এই দুই ব্যাক্তির বাড়ী সংলগ্ন সাপমারা খালের উপর দিয়ে সাকো ছিল।খালখনোন কালের সময় বাঁশের সাকো টি ভেঙে দেওয়া হয়। দীর্ঘ বছর ধরে এই দুই ব্যাক্তির বাড়ী সংলগ্ন সাপমারা খালের উপর সাকো ছিল। নোড়ারচক এলাকার নিরান্জনের মুদি দোকানের পশ্চিম পাশ দিয়ে খালপার ও বাঁশের সাকোর নিকটস্থ্য যাওয়ার পথ ছিল। সাকোটি দিয়ে প্রতিনিয়োত হাজার হাজার জনসাধারণ মানুষেরা পারাপার হতো।পারুলিয়া থেকে বদরতলা বাজার গামী পলগাদার ফজলু শেখের বাড়ীর সামনে লাবতে হয়।এরপর সাকোটি দিয়ে পার হয়ে নবতরনের বাড়ী সংলগ্ন পুল থেকে লাবতে হয়।এরপর নিরান্জনের মুদি দোকানের পাশ দিয়ে রাস্তায় উঠতে হয়। নোড়ারচকের নবতরন সে তার বাড়ীর পাশে খাল ছাইটে বাঁশের চোটা দিয়ে রেলিং দিয়েছে।যে পথটি বন্ধকরে দিয়েছে এই পথটি দিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে জনসাধারন মানুষেরা চলাচল করে এসেছে।চলাচলের পথটি বন্ধকরে দেওয়াতে চলাচলে খুবিই ভোগান্তী।চলাচলের জন্য এক হাত পরিমান পথ হলেই চলে এমনই দাবী এলাকার মানুষের। বেশির ভাগ ভোগান্তী হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া লোকদের কে। নোড়ারচক এলাকার মুসলমান সম্প্রদায়ের সকল পুরুষ মানুষেরা পলগাদার জামে মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। ডিবটিওয়েলের পানি নিতে মহিলা পারাপার হতো। চলাচলের পথ বন্ধকরে দেওয়াতে নামাজ পড়তে যেতে ও মহিলাদের পানি নিতে যাওয়ার খুবিই ভোগান্তীর স্বীকার হতে হচ্ছে।পলগাদার পারে বাঁশের সাকোর প্রথম একটি ধাপ করে রেখে দেওয়া দেখা গেছে। বাধা বীঘ্নের ফলে বাকী ধাপ করা সম্ভব হচ্ছে না। কোন রকম পার হওয়ার জন্য খালের দুই পারে প্রায় ১০০/ গজের মতো মোটা কাছি বেধে রেখেছে।খালের পানিতে ভাষমান রেখে একটি ছোলের ভেলা।এই ভেলাই করে পার করার কাজে পলগাদা এলাকার রফিকুল সরদারের ছেলে গফুর। নৌকার নামে ছোলের ভিলার মাঝি হয়ে কাজ করে টাকা কামাই করার সুজগ। তার জীবনে শিক্ষা লাভ করার সময়। এই সময় পার করছে ছোলের নৌকার মাঝি হয়ে।বাঁশের রেলিং দেওয়ার ব্যাপারে নবতরণের কাছে জানতে চাইলে বলেন আমার বাবা নেই।খালখননের সময় আমার বসত ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরপর বলেন আমার এই টুকু জায়গা ছাড়া কিছুই নেই। ভিটার পাশ দিয়ে চলাচল করলে ক্ষতি হাওয়ার লক্ষন দেখে চেয়ারম্যান কে জানিয়েছিলাম।জানা গেছে চেয়ারম্যান কে জানালে ও চেয়ারম্যান তিনি নবতরণকে চলাচলের পথে সহ-রেলিং দিতে বলে নি বলে জানা যায়। নবতরণ কর্তৃক চেয়ারম্যান কে নিয়ে সংবাদ কর্মীকে যে কথা বলেছে কথার মধ্যে বুঝা যায় এটি সম্পুর্ন নাম ভাঙায়ে খাওয়ার লক্ষণের আলামত।কারণ বর্তমানে ০২ নং-পারুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম তিনি জখন তার ওয়াডের মেম্বরের দায়ীত্বে ছিলেন সে সময় থেকে তার সাথে পরিচয় হয়।তখন থেকে এপর্যন্ত চেয়ারম্যানের নামে কোন ক্লেম পাওয়া যায় নি। পাওয়া নাও যেতে পারে। নবতরণ সংবাদ কর্মীকে বলে চেয়ারম্যান আমাকে রেলিং দিতে বলেছে।রেলিং দেওয়ার ব্যাপারে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে বলেন কোন কারনে রেলিং দিতে বলবো।নোড়ারচক এলাকার ফকির চান মন্ডের পুত্র দিনু বন্ধু মন্ডল তিনি জানায় যে ছাইট দিয়ে সাকোরপথ ছিলো ওই পথটি হলেই সকলের ভালো হবে।বিশ্বাস্য সুত্রে জানা যায়, এলাকার বর্তমান অর্থ শালী জগদীশ,গোপাল,সন্তোষ এই ব্যাক্তিরা সাকোর কাজে বাধা বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বলে জানা যায়। সাকোর বিষয় জগদীশের কাছে জানতে চাইলে বলেন তিনি বলেন আমি সাকোর বিষয় কিছু বলতে পারে নে।উল্লেখ্য স্থানে সাকো ও পথের স্থানে পথ এলাকার ১০০ থেকে ৮০ পার্সেন জনগনের পক্ষে বাঁশের ও পাকা ব্রীজ করণের দাবী ও পুর্বে যে ভাবে মানুষেরা পারাপার ও চলাচল করে এসেছে সেই ভাবেই হোক।সাকোটি তৈরি কাজে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়াতে নারী পুরুষেরা সাতার দিয়ে সাপমারা খালপার হয়।গতকাল সরেজমিনে দেখা যায় সাতার দিয়ে সাপমারা খালপার হতে।জীবনের ঝুকি নিয়ে নারী পুরুষেরা খালপার হয়। এই ভাবে পার হতে যেয়ে খালের জোয়ার ভাটার পানিতে ডুবে যাওয়ার ঘটেছে কয়েক দিন আগে এমনই অভিযোগ উঠেছে । তাই সচেতন মহলের পক্ষে সরকার কর্তৃপক্ষের কাছে উল্লেখ্য বাঁশের সাকোর ও পাকা একটি ব্রীজ হয় এই ব্যবস্থা করার দাবী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here