নড়াইলের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি তালের শাঁস

0
421

নড়াইল জেলা প্রতিনি : তাল কেটে তালের শাঁস বের করে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় পার করছে তাল ব্যবসায়ী নড়াইলের রুবেল করোনার প্রভাবে তালের আমদানি কম হওয়ায় গেলো বারের চেয়ে এ বছর তালের দাম অনেকটা বেশি বলে দাবি করছেন এই তাল ব্যবসায়ীরা। নড়াইলের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি খাদ্যের মধ্যে তালের শাঁস ও তালের তালের মৌসুমে তালের শাঁস, তালের নাড়–তাল পিঠা ও তালের খির এখনও মানুষের প্রিয় একটি খাবার। তালের মৌসুমে রাস্তায় বা বাজারঘাটে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা কচি তাল নিয়ে বসে থাকে। আর তালের শাঁস প্রিয়াসুরা দাঁড়িয়ে শাঁস কিনে খায়। আবার বাড়ির ছোটবড় সবার জন্য নিয়ে যায়। ছোটদের এটি একটি প্রিয় ফল। অন্যান্য ফলের চেয়ে এই ফলের স্বাদ আলাদা।তালের দোকানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দেখাগেলো রুবেলে হাতে সময় নেই কথা বলার। কারণ মানুষের এতো তাল শাঁসের অর্ডার। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী তাল কাটতে সে হিমশিম খাচ্ছে। বছরের প্রথম তাই ক্রেতাদের দামের বিষয়ে মাথা ব্যাথা নেই। আধাঘন্টা যাবৎ দাঁড়িয়ে আছে অনেক তাল শাঁস প্রিয়াসুরা। নড়াইলের ব্যবসায়ী রুবেল বলেন,গত বছরের চেয়ে এই বছরে তালের দাম অনেকটাই বেশি। গত বছর আমরা প্রতিটি তালের শাঁস এক থেকে দেড় টাকা দামে পাইকারী ক্রয় করে তিন টাকা দরে বাজারে বিক্রি করেছিলাম। এ বছর আমরা প্রতিটিতালের শাঁস ১০-১৫ টাকা দামে বিক্রি করছি। এবার দাম বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, করোনার প্রভাবেই মূলত তালের দাম এ বছর বৃদ্ধি হয়েছে। আমরা ঠিক মত তাল ক্রয় করতে যেতে পারছিনা। গাড়ি যাতায়াত সমস্যার কারণে যদিও পাওয়া যায় তার আবার ভাড়া বেশি। অন্য বছরে মহাজনরা নিজ তাল নিয়ে এসে আমাদের পৌঁছে দিয়ে যেত। মহাজনরা করোনার কারণে আসতে পারছে না। যদিও আসে তাহলে তারা এখানে থাকার জায়গা পাচ্ছে না। বর্তমান আমরা এলাকা থেকে গৃহস্থদের তালগাছ থেকে তাল কিনছি, ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে গাছ কিনেছি দুই দিনে ৩০০-৪০০টি তাল বিক্রয় করেছি। তা থেকে প্রায় ৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। একজন তালের শাঁস কিনতে আসা ক্রেতা বলন, তালের শাঁস আমার খুব প্রিয় একটি ফল। পরিবারেরও সবাই এইটি পছন্দ করে। তাই আধাঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আরও মানুষের অর্ডার আছে, তাদের কেটে দেওয়া হলে আমাকে দিবে। আমি ১০টি শাঁসের অর্ডার দিয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here