মনিরামপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের ১১ দিন পর শার্শা থেকে উদ্ধার : আটক-১

0
408

হেলাল উদ্দিন, রাজগঞ্জ প্রতিনিধি : মনিরামপুরে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরনের ১১ দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে শার্শা উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী একটি ইটভাটার ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ । এ ঘটনায় বাকির হোসেন ওরুপে জাকির নামে এক ভাটা শ্রমিককে আটক করে। এ ব্যাপারে স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে বাকির হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ শুক্রবার দুপুরে বাকিরকে আদালতে সোপর্দ করে। আটক বাকির হোসেন জাকির নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বান্টি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র। সে শার্শা উপজেলায় ভাটা শ্রমিকের কাজ করতো।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আশরাফুল আলম জানান, মনিরামপুর উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের সনাতন ধর্মালম্বী এক স্কুল শিক্ষকের মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে মায়ের উপর অভিমান করে ৩ জুন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধ্যান না পেয়ে ৫ জুন থানায় একটি জিডি করেন ছাত্রীর বাবা। ৯ জুন রাতে ওই ছাত্রী অপরিচিত একটি মোবাইলফোন নম্বর থেকে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে জানায় তাকে তিনজন যুবক অপহরন করে একটি ইটভাটার ঘরে আটকে রেখেছে। মনিরামপুর থানার এসআই তপন কুমার সিংহ জানান, এ খবর জানতে পেরে ওই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশের একটি টিম বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেলে শার্শা উপজেলায় রওনা হন। রাত ১০ টার দিকে শার্শার ভারতীয় সিমান্ত খামারপাড়া গ্রামের জেএএপি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে একটি ঘর থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এসময় সেখান থেকে আটক করা হয় বাকির হোসেন জাকির নামের এক ভাটা শ্রমিককে। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আশরাফুল আলম জানান, উদ্ধারকরা ওই ছাত্রী জানিয়েছে, ৩ জুন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে সে এক নিকট আত্মীয়ের বাড়ি যাবার জন্য মনিরামপুর পৌর শহরের মোহনপুর বটতলা মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষায় ছিল। এসময় তার সাথে পরিচয় হয় বাকির হোসেন এবং অপর দুই যুবকের সাথে। এক পর্যায়ে তারা ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে বাসে করে নিয়ে যায় খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়। সেখানে একটি ঘরে তাকে তিনদিন আটকিয়ে রাখা হয়। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যশোরের শার্শা উপজেলার খামারপাড়া গ্রামের জেএএপি ইটভাটায়। ওই ছাত্রী জানায়- ইটভাটার একটি ঘরে তাকে আটকিয়ে রেখে বাকির হোসেন জাকির তার সাথে খারাপ আচরন করে। ৯ জুন রাতে ওই ছাত্রী কৌশলে বাকির হোসেন জাকিরের মোবাইল ফোন থেকে কথা বলে তার বাবার সাথে। ১১ জুন রাতে পুলিশ সেখান থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। মনিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা স্কুল শিক্ষক বাদি হয়ে বাকির হোসেন জাকিরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২ ব্যক্তির নামে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করেন। যার মামলা নং-৭। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ বাকিরকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে ওই ছাত্রীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে জবানবন্দি প্রদান এবং ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here