মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন মহেশপুরে মেধাবী ২ জমজ বোন রুকাইয়া ও
রাবেয়ার। তারা এবছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে
গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে তার পিতা মিজানুর রহমান খাঁন একজনগরিব ভূমি জরিপকারী(আমিন)। মেধাবী চার মেয়ের খরচ চালাতেই হিমশিমখাচ্ছেন তিনি, এখন ভাল ফল নিয়ে ছোট জমজ ২ মেয়ে কলেজে ভর্তি হবে
কীভাবে, খরচ কোথায় পাবেন? মেয়ে ভাল ফল করায় চিন্তা বেড়েছে এই দরিদ্রপিতা মাতার। তাদের লেখাপড়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।রুকাইয়া ও রাবেয়া ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পাইলট মাধ্যমিক বালিকা
বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে জিপিএ-৫ পায়। তারা
মহেশপুর পৌরসভার জলিলপুর খান পাড়ার মিজানুর রহমান খাঁন ও সাহিদা খাঁনেরজমজ ২ মেয়ে।মিজানুর রহমান খাঁন বে-সরকারিভাবে ভূমি জরিপের কাজ করে। তার চার মেয়ে ও
স্ত্রীকে নিয়েই সংসার। সীমিত আয় দিয়ে মেধাবী চার মেয়ের পড়ালেখাচালিয়ে যাচ্ছেন খুব কষ্ট করে। বড় মেয়ে সাইদাতুনেচ্ছা যশোর সরকারি এমএমকলেজে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্সের শেষ বর্ষের ছাত্রী এবং মেজো মেয়েজান্নাতুনেচ্ছা যশোর সরকারি এমএম কলেজে অনার্সে ইংরেজী বিভাগের ২য়বর্ষের ছাত্রী। ছোট ২ মেয়ে রুকাইয়া ও রাবেয়া এবার এসএসসিতে গোল্ডেন এপ্লাস পেয়ে উর্ত্তীণ হয়েছে। ২ বোনের প্রাপ্ত নম্বর ২০১৭।জমজ ২ বোন এ প্রতিবেদককে বলে, আমাদের এ সাফল্যের পেছনে আমাদের
পিতা-মাতা, পরিবার ও শিক্ষদের অবদান সবচাইতে বেশি। তারা লেখাপড়া করেডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। তারা আরো বলেন, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এমন যে সকল মানুষ সেবা পাই না তাই তারা ডাক্তার হয়ে এই কাজটি
করতে চাই কিন্তু প্রধান অন্তরায় পরিবারের দারিদ্রতা। ৪ শতক ভিটে জমির উপরেতাদের ঘরবাড়ি। পিতা সামান্য ভূমি জরিপের কাজ করে, মা একজন গৃহিনী। চারবোনের লেখাপড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পিতা মাতা। তারা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে চাই কিন্তু পিতার দারিদ্রতার কারণে দুশ্চিন্তায় ভোগছে ২ বোনপিতা মাতা খচর চালাতে পারবে কিনা।
মা সাহিদা খাতুন বলেন, ‘আমার চার মেয়েকেই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতেচাই। তারা মানুষের মতো মানুষ হবে, এটাই আমার কাম্য।’ কিন্তু আমার সেস্বপ্ন কি বাস্তবায়ন হবে ?তাদের পিতা মিজানুর রহমান খাঁন বলেন, ‘আমি চাই তাদের ভালো কলেজেভর্তি করাতে। তবে লেখাপড়া করাতে অনেক খরচ। এমনিতেই বড় দুই মেয়েকে খরচদিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় আমাকে। এবার ছোট ২ মেয়েও ভালো রেজাল্টকরেছে। চিন্তা বেড়ে গেলো। এদিকে তাদের ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার।’তিনি বলেন,‘কিভাবে ভালো কলেজে ভর্তি করবো, অর্থের অভাবে রয়েছি। একলা কাজ করেআর পেরে দিচ্ছি না। তারপরেও কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে সাধ্য মতো চেষ্টা করেদেখি, ভালো কোথাও মেয়েকে ভর্তি করাতে পারি কিনা।’ কিন্তু অভাবের কারণে
তাদের হয়তো বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি করা আমার জন্য কষ্টকর হবে। দরিদ্র এইপরিবারের জমজ সন্তানের লেখা পড়ার প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পারিবারেরআর্থিক সংকট।মহেশপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন কুমার জানান, ‘জমজ ২ বোনেরসফলতা আমাদের স্কুলের গর্ব। তারা ২ বোনই অসম্ভব মেধাবী। তাদের পরিবারদরিদ্র হলেও আমি তাদের সফলতা কামনা করি।