লক্ষীপাশা(নড়াইল)প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার গন্ডব গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ট্রিপল মার্ডারের মধ্যে মোক্তার
মোল্যা(চাচা) ও তার আপন ভাতিজা হাবিল মোল্যা হত্যার ঘটনায় মামরা দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ জানায়, শুক্রবার(১২ জুন) রাতে গন্ডব গ্রামের মোমরেজ মোল্যা বাদি হয়ে ৭৭ জনকে আসামীকরে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-১২। দায়েরকৃত মামলায় ট্রিপল মার্ডারের মূল হোতা ইয়াবাব্যবসায়ী, জুয়াড়ি ও নড়াইল জেলা পরিষদের সদস্য শেখ সুলতান মাহমুদ বিপ্লব কে প্রধান আসামী করাহয়েছে। এছাড়াও হত্যাকান্ডের দিন একই বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা ওই গ্রামের সাত্তার মোল্যার ছেলেএ,এস,আই ওসমান(এসবি,ঢাকায় কর্মরত) কে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। ওই পুলিশ কর্মকর্তাকেকুপিয়ে জখম করবার ঘটনায় শুক্রবার (১২জুন) রাতে মোঃ কিবরিয়া মোল্যা বাদি হয়ে ১৭জনকে আসামীকরে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১১।
গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডব গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে মিরাজমোল্যা নেতৃত্বাধীন গ্রুপ এবং সুলতান মাহমুদ বিপ্লব নেতৃত্বাধীন গ্রুপ এর মধ্যে এলাকায়আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে উভয় গ্রুপ বুধবার দুপুর ৩টার দিকে ঢাল,সড়কি, রামদাসহ নানা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গন্ডব গ্রামের গো-হালটে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে শেখসুলতান মাহমুদ বিপ্লব পক্ষের লোকের ধারালো অস্ত্রের কোপে গন্ডব গ্রামের মৃত মাজেদ মোল্যার ছেলেমোক্তার মোল্যা (চাচা) সহ ভাতিজা একই গ্রামের মনতাজ মোল্যার ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিল
মোল্যা নিহত হন। এছাড়াও সাইফার মোল্যার ছেলে রফিক মোল্যাও নিহত হন।গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদবিপ্লব এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এ হত্যাকান্ডে বিপ্লবকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছে তারচাচা ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম। অবশ্য,অভিযোগ বিষয়ে সিআইডির(ক্রিমিনালইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) ফরেনসিক শাখার ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম স্থানীয়সাংবাদিকদের ফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক নয়। আমি হত্যাকান্ডেরনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রকৃত হত্যাকারীদের শাস্তি হোক। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, অভিযান অব্যাহত রয়েছে।গ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। রফিক হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। থানার
সেকেন্ড অফিসার এস,আই মিল্টন কুমার দেবদাস জানান, নড়াইল জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক
কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম সহ এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ১৩ জনকে। উল্লেখ্য, ট্রিপল মার্ডারের মূল
হোতা শেখ সুলতান মাহমুদ বিপ্লব আটক বিএনপি নেতার শ্যালক।