বিড়ি শিল্পের উপর বৈষম্যমূলক ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে শার্শায় মানববন্ধন

0
347

জসিম উদ্দিন, শার্শা প্রতিনিধি : ২০২০-২০২১ অর্থ বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর বৈষম্যমূলক ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে যশোরের শার্শায় মানববন্ধন করেছে দক্ষিণ অঞ্চলীয় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।
রবিবার বেলা ১১টার সময় যশোর-বেনাপোল মহা সড়কের নাভারণ সাতক্ষীরা মোড়ে এ মানববন্ধন কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের দক্ষিণ অঞ্চলের আহবায়ক ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক দিকা মায়া বেগম সহ ৫শ বিড়ি শ্রমিক নেতাকর্মী ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রীবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি প্যাকেট বিড়িতে ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে ৪ টাকা। যা শতকরা বৃদ্ধিহারে ২৮.৫৭%। অপরদিকে কমদামি সিগারেটে প্রতি প্যাকেটে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে মাত্র ২ টাকা। যা শতকরা বৃদ্ধির হার মাত্র ৫.৪১%।
অর্থাৎ সিগারেটের চেয়ে বিড়িতে প্যাকেট প্রতি ২ টাকা বেশি এবং শতকরা ২৩.১৬% বেশি। এটি বিড়ি শিল্পের উপর চরম বৈষম্যমূলক আচরণ। বিদেশি সিগারেট কোম্পানিকে সুবিধা দিতেই এ বৈষম্য করা হয়েছে। যা দেশীয় শিল্পের সাথে বিমাতা সুলভ আচরণ ছাড়া কিছুি না। দীর্ঘদিন ধরে বিড়ি শিল্প ধ্বংস করার জন্য যে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল প্রস্তাবিত বাজেটে তা প্রতিফলিত হয়েছে। এছাড়াও মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। পাশাপাশি বেশি দামী সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি না পাওয়ায় কোম্পানির আয়ের সীমা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সরকার বেশি ট্যাক্স প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর যে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে তা এ শিল্পের জন্য চরম হুমকিস্বরুপ। এর ফলে বিড়ি ফ্যাক্টরীর সংখ্যা কমে যাবে। করোনা পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়বে লক্ষ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক। যার ফলে শ্রমিকরা করোনায় আক্রান্ত না হয়েও অনাহারেই মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবে। এছাড়াও নকল বিড়ি বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। সরকার হারাবে কোটি কোটিি টাকার রাজস্ব।
এমতাবস্থায় বক্তারা তাদের ৬ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, ১. বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে। ২. বিড়ির উপর ট্যাক্স কমাতে হবে। ৩. কমদামী সিগারেট ও বেশী দামী সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে। ৪. নকল বিড়ির ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। ৫. ভারতের ন্যায় বিড়ি শিল্পের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। ৬. কোন ভাবেই করোনা পরিস্থিতি ও ভাবিষ্যতেও বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরী না করে বিড়ি শিল্পের ক্ষতি করা সমীচিন নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here