মালেকুজ্জামান কাকা, যশোর : যশোরের শার্শা উপজেলার পুটখালী সীমান্তের মাদক সম্রাট খ্যাত বড় নাসির কে তরুন উদ্দোক্তা সহ খামার ব্যাবসায়ী বানিয়ে বিভ্রান্তী মূলক বিভিন্ন সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকরা সক্রিয় হয়ে ওঠেছেন। এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেনাপোলের সাংবাদিকদের একটি মহল। তাদের এই অপকৌশলে প্রশাসনের নজর এড়াতে সম হবেন শার্শা-বেনাপোল সীমান্তের চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ীরা। এই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শার্শার সুশীল সমাজ। টাকার বিনিময়ে চোরাকারবারী ও মাদক বিক্রেতার অপরাধ ঢাকতে স্বচ্ছ ব্যাবসায়ী বানানোর অপচেষ্ঠায় মহান পেশাকে কলঙ্কিত করা হতে বিরত থাকতে বলেছেন এলাকার প্রবীন সাংবাদিকরা। চলতি বছরের গত ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার, ডেইলি আমার সংবাদ২৪ অনলাইন পোর্টালে সাংবাদিক নজরুল ইসলামের লেখা প্রতিবেদনে ‘শার্শার পুটখালী সীমান্তে গ্রাম পুলিশের উপর মাদক সম্রাট নাসির বাহিনীর হামলা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হতে দেখেছি। দুই মাসের ব্যাবধানে একই সাংবাদিকের লেখা প্রতিবেদনে ‘বেনাপোল পুটখালীর নাসির সরদারের বি এনপিতে যোগদানের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে মাদক সম্রাট নাসির কে সফল তরুন গরু ব্যাবসায়ী বানানো দেখে হতবাক হয়েছেন অনেকেই।
চিহ্নিত ঘাট পরিচালনাকারী ও মাদক সম্রাট কে বিশিষ্ট খামারী বানানোর অপচেষ্ঠা কে জনসাধারনেরর সাথে প্রতারনার সামিল উল্লেখ করে অবিলম্বে হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে জড়িত সাংবাদিক দের মা চেয়ে ভূল স্বীকারের আহবান জানিয়েছেন সমাজপতিরা। এ বিষয়ে তাদের মতামত; সামান্য টাকার জন্য দুই রকম তথ্য সন্মলিত সংবাদ পরিবেশন করে জন সাধারনের মাঝে বিভ্রান্তী সৃষ্টি করা গুরুতর অন্যায় ও আইনে ফৌজদারী অপরাধ ও বটে। পুটখালীর বড় নাসির সীমান্ত ঘাট পরিচালনার সুবাধে এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ী হিসাবে সু পরিচিত। তার অপকর্ম পরিচালনায় এলাকায় নিজিস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী গড়েছে যারা বিভিন্ন সময়ে সংবাদ পরিবেশনের জেরে গনমাধ্যম কর্মীদের উপর চড়াও হওয়া সহ মারধরের একাধিক ঘটনা সবারই জানা আছে। তারপরও নাসির কে নিয়ে অপসাংবাদিকতা অত্যান্ত দুঃখ জনক। প্রসঙ্গত পুটখালী সীমান্ত ঘাট দিয়ে ভারত হতে বানের স্রোতের মত মাদক দ্রব্য ঢুকছে। এ কাজে জড়িতরা দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতি শুরু হতেই সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট বড় নাসিরের সাথে যোগাযোগে বিভিন্ন জেলা শহর হতে যান বাহন যোগে পুটখালী গ্রামে ঢোকেন। নাসিরের সহোযোগিরা সীমান্ত রী বাহিনী বিজিবি সদস্যদের ম্যানেজ করে মাদক ক্রেতাদের গ্রামে প্রবেশ করতে সহোযোগীতা করে থাকেন। পরবর্তীতে অভিনব সব কৌশলে মাদক বহন করে নিয়ে চাহিদা মত জায়গায় সরবাহ করেন তারা।গত ৭ জুন রবিবার ভোরে বিজিবির নিজিস্ব গোয়েন্দা আরআইবির সদস্যরা পুটখালী গ্রামের আমবাগানের মধ্যে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১১১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। ৬ই জুন পুটখালী সীমান্তে ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অভিনব কৌশলে মাদক বহনের সময় ৯৬ বোতল ফেনসিডিল ও মটর সাইকেল সহ হোমিওপ্যাথী চিকিৎসক সেলিম কে আটক করেন। ৯মে পুটখালী মসজিদ বাড়ী এলাকা হতে পুটখালী বিওপির নায়কে তরিকুলের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৪১৩ বোতল ফেনসিডিল ও ১টি পালসার মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছেন। তবে অভিযানে কেউ আটক হয়নি। ৮মে বড় আঁচড়া গ্রামের আমিনুরের স্ত্রী শাহিনুর (৪০) নামের একজন নারী মাদক ব্যাবসায়ী ২২বোতল ফেনসিডিল সহ ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যদের কাছে আটক হন। গত ২ মে শনিবার শার্শার কায়বা সীমান্তে সাদা রং এর প্রাইভেটকারে বহন কালীন সময়ে ৪৪৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার সহ গাড়ীটি আটক করনে। একই দিনে বেনাপোল র্পোট থানা পুলিশ সদস্যরা পুটখালী ইউপির বারোপোতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে মহিদুল ইসলাম (২৫) নামের একজন মাদক ব্যাবসায়ীকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ আটক করন। ৩মে ২১বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পুটখালীর ঈদগাহ মাঠ এলাকা হতে পরিত্যাক্ত ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। পহেলা মে পুটখালী ক্যাম্পের বিজিবি টহল দল পুটখালী গ্রামের মধ্য থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করনে। গত ২০ এপ্রিল বরিশাল সরকারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক নজরুল ইসলাম সুমনের স্কুল ব্যাগে থাকা ৮২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার সহ তাকে আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। উপরোক্ত মাদক দ্রব্য উদ্ধার সহ আসামী আটকের সত্যতা বিজিবি যশোর রিজিওন ক্যাম্প সুত্র নিশ্চিত করেন। পুটখালী গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, সীমান্ত ঘাটটি দীর্ঘ দুই বৎসরের বেশী সময় ধরে বড় নাসির নিয়ন্ত্রন করেন। ভারত হতে গরু ঢোকা বন্ধ থাকায় দীর্ঘ সময় ধরেই ভারত হতে নিষিদ্ধ ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য চোরা চালার হচ্ছে যা নিয়ন্ত্রন করেন বুধো নাসির। নাসির বরাবরই বিএন পির রাজনিতীতে জড়িত ছিলো। অবৈধ ব্যাবসা চালাতে এখন আওয়ামীলীগ দল করছে। বর্ডারগার্ড সদস্যদের পুটখালী সীমান্তের ধারাবাহিক মাদক দ্রব্য উদ্ধার অভিযান হতেই প্রমানিত হয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে খামার ব্যাবসায়ী পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার চেষ্ঠায় গনমাধ্যম কর্মীদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করা পুটখালীর বুধো সর্দ্দারের পুত্র বড় নাসির ই শার্শা সীমান্তের কু-খ্যাত মাদক সম্রাট।