নাসির আহমেদ,দশমিনা (পটুয়াখালী) পটুয়াখালীর দশমিনায় সুপার সাইক্লোন আ¤ফানের আঘাতে উপজেলারনদী তীরবর্তী ৩টি ইউনিয়নের ৪ শত মিটার ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধসংস্কার না হওয়ায় প্রায় পাঁচ হাজার একর জমি অনাবাদি থাকারআশংকা রয়েছে। এই কারনে আমন ধান চাষাবাদ নিয়ে কৃষকরা বিপাকেরয়েছে। ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ দিয়ে ফসলী জমিতে তেতুঁলিয়া,বুড়াগৌরাঙ্গ ও সুতাবাড়িয়া নদীর জোয়ারের নোনা পানি ঢুকেপ্রতিদিন প্লাবনের সৃষ্টি হচ্ছে।উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের কৃষক মোঃ মানিকহাওলাদার জানান, আ¤ফানের আঘাতে খলিশাখালীর কালিবাড়ি বাঁধ ভেঙেহুহু করে সুতাবাড়িয়া নদীর জোয়ারের পানি ঢুকে আমন ধানের বীজতলাতৈরি করা যাচ্ছে না। এই কারনে আমন বীজতলা করা নিয়ে কৃষকদেরমধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নেরজাফরাবাদ গ্রামের কৃষক মোঃ জাফর জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায়আমরা কৃষকরা আমন চাষাবাদ নিয়ে চরম হতাশায় আছি। বাঁশবাড়িয়াইউনিয়নের উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের হোসেন আলী, আজাহারবেপারী জানান, আম্পানের আঘাতে বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট এলাকা হইতেউত্তরে প্রায় দুইশ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তেতুঁলিয়া ওবুড়াগৌরাঙ্গ নদীর নোনা পানি ঢুকে রবিশস্য পচে নষ্ট হয়েছে। এখনআমন ধান চাষাবাদেও অনিশ্চয়তা রয়েছে। ওই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার কৃষকদেরদাবী, দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হলে হাজার হাজার কৃষক এ বছরআমন ধান চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হবে।পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে,আ¤ফানে উপজেলার ৫২/ডি পোল্ডারের উত্তর রনগোপালদী থেকে আলীপুরাহয়ে বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী পর্যন্ত প্রায় ৪শতমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এই বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য পানিউন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক ৩৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পানিউন্নয়ন বোর্ডের দশমিনার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীমোঃ নাজমুল হুদা জানান, ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্যস্থানীয়রা মাটি দিতে রাজি না হওয়ায় কোন ঠিকাদার এই মূহুর্তে কাজ করতে চাইছেন না। এই জন্য এ বছর ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ
সংস্কার করা সম্ভব নাও হতে পারে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খান জানান, আ¤ফানে ভেঙে
যাওয়া বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কার করা না হলে উপজেলার হাজার হাজারকৃষক আমন চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হবে এবং উপজেলায় আমনের উৎপাদনঅনেকটাই কমে যাবে। উপজেলা র্নিবার্হী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস জানান, স্বল্প সময়ে জমি অধিগ্রহন করতে না পারায় বেড়িবাঁধ সংস্কার বন্ধ হয়ে আছে। স্থানীয়রা মাটি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা সম্ভব হবে।