কামরুজামান লিটন ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে খরিফ-১/২০২০-২০২১ মৌসুমে প্রনোদনা কর্মসূচীর পারিবারিক কৃষির আওতায় সবজি পুষ্টি বাগান স্থাপনের লক্ষ্যে উপজেলায় ৫শত ৪৪ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সবজি বীজ ও ফলের চারা বিতরন উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝিনাইদহ জেলার উপপরিচালকের কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ হলরুমে কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন ডিএই যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ পার্থ প্রতিম সাহা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক কৃষিবিদ কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মুহ: মোফাকখারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান ও মুহাম্মদ জুনাইদ হাবীব প্রমুখ।
প্রধান অথিতি পার্থ প্রতিম সাহা তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে জানান খাদ্য নিরাপত্তা প্রশ্নে নিরাপদ শাক সবজি উৎপাদনের কোন বিকল্প নাই। নিরাপদ শাক সবজি ও ফলমুল উৎপাদনের জন্য প্রত্যেকটি কৃষি পরিবারকে এক একটি খামারে পরিনত করতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। বিনামুল্যে সরবরাহকৃত এসব বীজ ও চারার সঠিক বাস্তবায়নের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করার জন্য বলেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মুহ: মোফাকখারুল ইসলাম জানান প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নের ৩২ টি করে সর্বমোট ৫ শত ৪৪ টি ক্ষুদ্র ও প্রন্তিক কৃষক পরিবার উপকারভোগী হিসেবে তালিকাভূক্ত হয়েছে। বীজ, চারা ছাড়াও রাসয়নিক সার, বেড়া, মাচা ও পরিবর্যা বাবদ তালিকাভূক্ত প্রত্যেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পরিবার সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ ১ হাজর ৯ শত ৩৫ টাকা করে পাবেন। তিনি আরো জানান কর্মসূচী সঠিক ভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপসহকারী কৃষি অফিসারগন মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পাশে থেকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগী প্রত্যেকটি পরিবারের বাড়ির আঙ্গিনায় এক শতক করে জমিতে“ কালিকাপুর মডেল” স্থাপনের মাধ্যমে বছরব্যাপি নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদিত হবে। যা থেকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পরিবার গুলোর পারিবারিক পুষ্টি চাহিদার অতিরিক্ত উৎপাদন বিক্রি করে সংশ্লিষ্ট পরিবার গুলো আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রনোদনার আওতায় পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান স্থাপনের জন্য মোট ১৪ লাখ৩৩ হাজার ৪শত ৪০ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।