স্টাফ রিপোর্টার : পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধওে বাবা মা ও বোনের লাঠির আঘাতে হায়দার আলী নামে এক রাজ মিস্ত্রী মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ছেলের বউ শ^শুর,শ^াশুরী ও ননদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারী শ^শুর গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলা তাল বাড়িয়া গ্রামে। আসামীরা হচ্ছে,শ^শুর একই গ্রামের মৃত গৌছির মোল্লার ছেলে গোলাম মোস্তফা,শ^াশুরী মোছাঃ কাজল বেগম ও নগদ দিবা খাতুন।
তালবাড়িয়া গ্রামের হায়দার আলীর স্ত্রী মোছাঃ শারমিন বেগম বাদি হয়ে মঙ্গরবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় উক্ত আসামীদের নাম উল্লেখ কওে দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন,তার স্বামী হায়দার আলী রাজ মিস্ত্রীর কাজ করে। শ^শুর,শ^াশুর ও ননদেও সাথে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক দ্বন্দ্ব কলহ ফাসাদ বেধে আছে। প্রায় সময় তারা ঝগড়া বিবাদ করে। সোমবার ১৫ জুন দুপুর ২ টায় উক্ত আসামীরা হাতে লাঠি সোটা নিয়ে হায়দার আলীকে তার বাড়ির বারান্দায় পেয়ে গোলাম মোস্তফা আঘাত করে। এ সময় সহযোগী কাজল বেগম ও ননদ দিবা খাতুন মারপিট করে। হায়দার আলীকে রক্ষার করতে তার মেয়ে বিথি,বোন চুমকি ও শারমিন বেগম ঠেকাতে এলে তাদেরকে লাঠি সোটা দিয়ে মারপিট করে । গুরুতর আহত অবস্থায় হায়দার আলীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করেন। এদিকে গৃহবধূর দায়ের করা মামলায় পুলিশ গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে।