যশোরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তালাকপ্রাপ্তা এক নারীকে প্রকাশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলা

0
330

স্টাফ রিপোর্টার : বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তালাকপ্রাপ্তা নারী বেবী খাতুন (২৫)কে প্রকাশ্যে ইজিবাইক থেকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণের অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মঙ্গলবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অপহৃতা বেবী খাতুনকে উদ্ধার করেছে। বুধবার বেবী খাতুনের ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন করেছেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারক। যশোর সদর উপজেলার ১নং হৈবতপুর ইউনিয়নের কিসমত চাকলাদার পাড়ার মৃত হাজ¦ী মোজাহার চাকলাদারের ছেলে ইসহাক আলী মঙ্গলবার কোতয়ালি মডেল থানায় মেয়ে বেবী খাতুনকে প্রকাশ্যে অপহরণের অভিযোগে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,সদর উপজেলার কিসমত হৈবতপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে রওফুল ইসলাম, আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল আজিজ ওরফে নুন্টু,মুছা বিল্লা,নাটুয়াপাড়ার মৃত আব্দুল গনির ছেলে আবু তালেব ও হাফিজুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন। ইসহাক আলী তার দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন,তার তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে বেবী খাতুন গত ৮ জুন সকালে কাপড় কেনাকাটার জন্য ইজিবাইক যোগে যশোর শহরের দিকে আসছিল। সকাল ১০ টায় ইজিবাইক যশোর হৈবতপুর গ্রামের বিরামপুর মহা শ্মশ্মানের সামনে পৌছালে উক্ত আসামীরা ইজিবাইক থামিয়ে বেবী খাতুনকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নাম্বার বিহীন মাইক্রোবাসে তুলে জোর পূর্বক নিয়ে যায়। ইজিবাইকে থাকা যাত্রীদের মাধ্যমে ইসহাক আলী জানতে পেরে ১৬ জুন মঙ্গলবার ভোর ৬ টায় পুলিশের সহায়তায় কিসমত হৈবতপুর রওফুল ইসলামের বাড়ি হতে বেবী খাতুনকে উদ্ধার করে। এ সময় রওফুল ইসলামসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। এজাহারে আরো উল্লেখ করেন, বেবী খাতুনের সাথে রওফুল ইসলামের স্কুল ও কলেজ জীবনে একই কাসে লেখাপড়ার কারণে তাদের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেবী খাতুনকে রওফুল ইসলামের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইসহাক আলী মেয়ে বেবী খাতুনকে নওদা গ্রামের আব্দুল গনি ছেলে পিকুল হোসেনের সাথে বিয়ে দেয়। পিকুলের ঘরে বেবী এক মেয়ে সন্তানের জননী হয়। তার নাম মাইশা (৩)। বিয়ের পরও রওফুল ইসলাম বেবী খাতুনের সাথে যোগাযোগ রেখে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখাতো। পিকুল হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে দেড় বছর পূর্বে তালাক দেয়। বেবী খাতুনকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বুধবার আদালতে তুললে স্বেচ্ছায় ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here