শৈলকূপা ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকুপার ভাটই বাজারের পুলিশ ফাঁড়ির সামনে কাদাপানিতে শুয়ে কম্বল গায়ে কাঁপছেন নাম না জানা অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বৃদ্ধ। গত দুই-তিন দিনের প্রচন্ড বৃষ্টিতে কাদাপানিতে ঢেকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছেন। তবুও তিনি বৃষ্টির মধ্যে শুয়ে আছেন কম্বল গায়ে। তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী।
গতকাল বুধবার (১৭ জুন) বিকেল থেকে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে তাকে দেখা গেছে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজারের পুলিশ ফাঁড়ির সামনে। কাদাপানিতে শুয়ে কম্বল গায়ে কাঁপছেন। এদিকে কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না তার দিকে। বৃষ্টির কাদাপানিতে সারা শরীর একাকার বৃষ্টির মধ্যে সড়কে যানবাহন চলাচলের ফলে কাদাপানি ছুটে তার মাথার লম্বা লম্বা চুলে ও মুখমন্ডলে ভরে গেছে।
তবুও উঠছেন না সেখান থেকে তবে পাগল হিসেবে পরিচিত ওই বৃদ্ধ বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। করোনার মধ্যেও নেই তার কোনো ভয়ভীতি। বছরের পর বছর রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে রাস্তায় বসবাস করে আসছেন অজ্ঞাত পরিচয়ের এই বৃদ্ধ।
উপজেলার ভাটই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জালাল বিশ্বাস জানান, তিনিও বেশ কয়েক বছর ধরে ওই বৃদ্ধাকে তাদের এলাকায় দেখছেন। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে বাজারের যে কোনো স্থানে শুয়ে থাকেন। গত এক সপ্তাহ ধরে ওই বৃদ্ধা ভাটই পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মহাসড়কে বৃষ্টির মধ্যে একটি কম্বল গায়ে শুয়ে আছেন। বৃষ্টিতে কাদাপানিতে প্রায় ঢেকে যাওয়ার উপক্রম। তার এ অবস্থা হলেও এখন পর্যন্ত তাকে উদ্ধারের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি।
ভাটই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই রেজওয়ানুল হক জানান, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মহাসড়কে এক অজ্ঞাত পরিচয় বৃদ্ধকে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে কাদাপানিতে কম্বল গায়ে শুয়ে থাকতে দেখেছি। তাকে মাঝে মধ্যে খাবার দিলে খাবার নেন। আমি এখানে নতুন এসেছি তবে শুনেছি বৃদ্ধ লোকটি এ এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে রয়েছেন।