চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি ॥ যশোরের চৌগাছা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সম্পূর্ণ ঋষিপাড়া মহল্লা রেড জোন ঘোষনার পর লকডাউন করেন প্রশসন। গত ৬দিন আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার লকডাউন ঘোষনা করার পাশাপাশি ঋষিপল্লীর সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বাঁশ বেধে চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ আসবে না এবং বাইরের কেউ ওই মহল্লায় প্রবেশ করবে না বলে চলছে প্রচার প্রচারনা।
কিন্তু বাস্তবে প্রেক্ষাপট ভিন্ন বলে জানান এলাকাবাসি। মঙ্গলবার দুপুরে লকডাউন ঘোষনার পর বিকেলে বন্ধ সড়কের পাশে প্রশাসনের পক্ষ হতে আনছার সদস্যদের দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা সারক্ষন লকডাউনের এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়া দেখা শুনা করতে থাকেন। কিন্তু বুধবার থেকে আনছার সদস্যদের দেখা মেলেনি। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ঋষিপল্লীর সব বয়সের মানুষ বাড়ি থেকে অহোরহ বের হচ্ছেন। মহল্লার পুরুষেরা জুতা সেলাই ও সেলুনে কাজসহ নানা কাজে বের হচ্ছেন, মহিলারা বিভিন্ন অজুহাতে রাত অবাধি বাড়ি থেকে বের হচ্ছে এবং বাড়িতে ঢুকছেন। এ দিকে বাড়ির ছোট ছোট শিশুরা বাজারে ঘুড়ি কিনতে আসছে মিশছে সব ধরনের শিশুদের সাথে। একই অবস্থা বাইরের লোকজনের ক্ষেত্রেও। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ওই মহল্লায় সব ধরনের মানুষের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন। এদিকে প্রশসনের পক্ষ হতে বলা হচ্ছে হাসিব ইলেকট্রনিক্্েরর দোকান হতে দক্ষিনে কুতুব উদ্দিনের বাড়ি পূর্বে কাজীপাড়ার গলি হতে দক্ষিনে সড়ক এবং উত্তরে যশোর-চৌগাছা মেইন সড়ক পর্যন্ত লকডাউনের আওতায় থাকবে। উত্তরে অর্থাৎ মেইন সড়কের গা ঘেষা সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লকডাউনের দিন হতে নিয়মিত খোলা রেখে চলছে ব্যবসা, একই অবস্থা ঋষিপল্লীতে প্রবেশে সড়কের পাশের দোকান গুলোর। এই অবস্থায় যদি লকডাউন চলে তাহলে ভীতি থেকেই যাচ্ছে। লকডাউনের বাইরে অর্থাৎ ৭ নং ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লকডাউনের কোন কিছুই মানা হচ্ছে না। এতে করোনা সংক্রমনের ঝুকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। লকডাউনের আওতায় থাকা সকলেই নিয়মিত ভাবে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে ও প্রবেশ করছে আসছে অন্য এলাকার মানুষও। বিষয়টি আরও গুরুত্বের সাথে দেখা দরকার বলে অনেকেই মনে করছেন।