সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিজিবি’র সোর্স পরিচয় দিয়ে স্বর্ণ,হুন্ডি ও মাদক পাচার

0
441

সেলিম মুকুল সাতক্ষীরা ব্যুরো প্রধান : সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে নিজেকে বিজিবি’র সোর্স পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ, হুন্ডির টাকা, মাদক, বনজ পাখি, ভারতীয় ভাইরাস যুক্ত গলদার রেনু, নারী ও শিশু পাচার করে আসছে ভোমরার লহ্মীদাড়ী গ্রামের মৃত. নুর মোহাম্মাদ গাজীর ছেলে এবাদুল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক নারী কেলেঙ্কারি। এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, ভোমরার লহ্মীদাড়ী গ্রামের মৃত. নুর মোহাম্মদের পুত্র নারী কেলেঙ্কারির হোতা এবাদুল নিজেকে বিজিবি’র সোর্স পরিচয় দিয়ে লহ্মীদাড়ী সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ, হুন্ডির টাকা ও বনজ পাখি যেমন ময়না, টিয়া, ভালো জাতের টিয়া ভারতে পাচার করে। ভারত থেকে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, মদ, পাচার করে নিয়ে। নিজেকে বিজিবি’র সোর্স পরিচয় দেওয়ায় ভোমরা সীমান্তের অন্যান্য চোরাচালানীরাও এবাদুলের মাধ্যমে তাদের চোরাচালানকৃত পণ্য পারাপার করে অর্থের বিনিময়ে।
এলাকাবাসীর অভিযোগে আরা জানা যায়, এবাদুলের চোরাকারবারি ব্যবসা ও চোরাকারবারিদের মালামাল পারাপারের জন্য রয়েছে একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী বাহিনী। সীমান্ত এলাকায় এই বাহিনীর নাম এবাদুল বাহিনী। এবাদুল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে গ্রেফতারের হুমকি দেওয়া হয়। ভোমরার একাধিক ব্যক্তি জানায়, এবাদুল বিজিবি’র সাথে বেড়ায় বিধায় যে কোন ব্যক্তির বাড়িতে মাদক রেখে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার ভয়তে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। কুড়ে থাকা এবাদুল এখন পাকাবাড়িতে বসবাস করে। এলাকাবাসী আরো জানায়, এবাদুল নারী কেলেঙ্কারির সাথেও জড়িত। ১৬ জানুয়ারি ২০ ভোমরার বাবু মার্কেটে এক ভাড়াটিয়ার স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ আছে। ২৮ মে ভোমরা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে তার ধর্ষণের চেষ্টার সময় তার স্বামীর কাছে ধরা পড়ে। ওই গৃহবধুর স্বামী সদর থানায় এবিষয়ে অভিযোগ করেন। যেটা সাতক্ষীরার স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দালালরা নারী ও শিশুদের ভারতের চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে এবাদুলের মাধ্যমে ভারতে পাচার করে। অভিযোগ সম্পর্কে এবাদুলের কাছে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমি একটু সাদা জামা পড়ে ঘুরে বেড়াই বলে লোকেরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আমি এসমস্ত কাজের জড়িত নই। আমি বিজিবি’র কোন সোর্স না। ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুঠো ফোনে এ প্রতিবেদককে জানায়, এবাদুল তাদের কোন সোর্স না। তবে বিজিবি’র এফএস(গোয়েন্দা সংস্থা) এর সাথে ঘুরে বেড়ায়। তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি খবর নেবো। ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা আনারুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানায়, এবাদুল বিজিবি’র সাথে ঘুরে বেড়ায় এবং চোরাচালান পণ্য পারাপার করে।
এইসময় প্রতিবেদকের মুঠোফোনে নিজেকে সাতক্ষীরা টুডের সাংবাদিক আব্দুল গফফার পরিচয় দিয়ে এবাদুলের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চান। অভিযোগ শোনার পর বলেন, এলাকার একটি নারী ঘটিত ঘটনায় এলাকার একদল লোক এসব কথা বলে বেড়াচ্ছে। আসলে এবাদুল এসব করে না। আপনি নিউজটা করবেন না। এলাকার সচেতন জনগন এবাদুলের হুন্ডি, স্বর্ণ, মাদক, বনজপাখি ও নারী শিশু পাচার বন্ধ এবং তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here