শার্শায় নয় রেড জোন এলাকা লক ডাউন……বাঁশ ব্যানার গলিয়ে অবাধে চলাচল করছে মানুষ

0
292

জসিম উদ্দিন, শার্শা প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলায় ৯ রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলেও সে নির্দেশনা উপেক্ষা করেই লোকজন যত্রতত্র চলাফেরা করছে। খোলা রাখা হচ্ছে অনেক দোকানপাট- হাটবাজার। অনেকে আবার ‘একঘেয়েমি কাটাতে‘ ভিড় করছেন চায়ের দোকানে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মণ্ডল জানান, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেড জোন এলাকা থেকে লোকজনকে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং করা হচ্ছে। কাউকে কাউকে জরিমানাও করা হচ্ছে। তবুও মানুষের যত্রতত্র চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা বা তাদের ঘরে রাখা যাচ্ছে না। গত রবিবার রাতে বেনাপোল পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেনাপোল, পাঠবাড়ী ও পোড়াবাড়ী নারায়ণপুর গ্রামকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে অবরুদ্ধ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শার্শা উপজেলার শার্শা সদর ইউনিয়নের কাজিরবেড়, নাভারন রেলবাজার, উত্তর ও দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রাম এবং বেনাপোল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নামাজগ্রাম ও দূর্গাপুর গ্রামকে রেড জোন হিসেবে লকডাউন করা হয়।
এছাড়া শার্শার বেনাপোল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ও বাগআঁচড়া ইউনিয়নকে ইয়োলো জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এই এলাকা আগে গ্রিন জোনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু দেখা গেছে- নাভারন ও উপজেলার অন্যান্য বাজারের দোকানপাট ও হাটবাজার খোলা রয়েছে।বেনাপোল বাজারের পাশ থেকে রেড জোন শুরু হওয়ায় বাজারটি ২টা পর্যন্ত খোলা থাকছে।
এছাড়া বন্দর, ব্যাংক, সিএন্ডএফ অফিস, ট্রান্সপোর্ট ও দূরপাল্লার পরিবহন গুলোর অফিস থাকায় বাজারে সব সময় লোকজন জমজম করছে। রেড জোনের বাসিন্দাদের অনেককেই রেড জোনের বাইরে এসে বাজারে অনর্থক ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
বেনাপোলের কামরুল হাসান (২২) বলেন, এক নাগাড়ে বাড়ি বসে থাকতে ভাল লাগছে না তাই বাজারে এলাম। চা পান খেয়েই চলে যাবো। রেড জোনের কথা বলতেই সাথে থাকা আবু নাইম (২০)বলেন, করোনা যার হবে তার হবেই।সবাই তো বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই বয়সে বাড়ি বসে থাকতে ভাল লাগে?
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে উপজেলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
তারপরও মানুষ কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বাইরে চলাচলের চেষ্টা করছে। তাদের আবার বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তাছাড়া কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে রেড জোন ঘোষনা করে লক ডাউন করা বাঁশ ও ব্যানার গলিয়ে অবাধে মানুষ ও যানবাহন চলাচল এবং হাইওয়ে সড়কে পর্যাপ্ত মানুষের ভীড় সচেতন মহলে এক প্রকার চাপা ভয় কাজ করছে। তারা বলেন, সরকারি আইনকে কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা গেলেই কিছুটা হলেও মানুষ রক্ষা পাবে। তা না হলে করোনা মহামারীতে এই উপজেলার অসচেতন মানুষকে কঠিন মুল্য দিতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here