উঠতি বয়সের সন্ত্রাসী কর্তৃক যুবক এহসানুল হক @ ইমু (৩২) খুন

0
339

গত ২১/০৬/২০২০ খ্রিঃ দিবাগত রাতে এহসানুল হক @ ইমু (৩২), পিং-সৈয়দ ইকবাল হোসেন, বাসা নং-১০৯, বি ব্লক, উপশহর, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর কোতয়ালী থানাধীন নিউ মার্কেট শিশু হাসপাতালের বিপরীত দিকে ”রয়েল টি স্টল” -এ বসে চা পান করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীদের অতর্কিত আক্রমণ ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয় লোকজন কর্তৃক চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসারতঃ অবস্থায় ভিকটিম এহসানুল হক @ ইমু মারা যায়। ভিকটিমের পিতা এ সংক্রান্তে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা নং-৫৪, তারিখ-২২/০৬/২০২০ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। পিবিআই যশোর জেলা ক্রাইসিন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা অব্যহত রাখেন। পিবিআই যশোর জেলা ভিকটিম এহসানুল হক @ ইমু হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত অব্যহত রাখেন। তদন্তের ধারাবাহিকতায় ডিআইজি পিবিআই জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্ববধান ও দিক নিদের্শনায়, পিবিআই যশোর জেলার ইউনিট ইনচার্জ জনাব এম, কে, এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, পিপিএম এর নেতৃত্ত্বে এসআই (নিঃ) ¯েœহাশিস দাশসহ যশোর জেলার আভিযানিক দল আল শাহরিয়া (২০) কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আল শাহরিয়ার সহ মোট ০৯ জন হত্যাকান্ডের সহিত জড়িত মর্মে স্বীকার করে এবং তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গত ইং ২১/০৬/২০২০ তারিখ রাত অনুমান ১৯.২৫ টার সময় যশোর কোতয়ালী থানাধীন নিউ মার্কেট শিশু হাসপাতালের বিপরীত দিকে ‘‘রয়েল টি স্টল”এর সামনে বাদীর পুত্র ভিকটিম এসহানুল হক @ ইমু (৩২) ও তার বন্ধু শোয়েব একত্রে চা পান করছিল। উক্ত চায়ের দোকানে শাকিল, শাখাওয়াত ও তানভীর নামে তিন জন যুবক ও চা পান করছিল। উল্লেখিত যুবকগণ চা পানরত অবস্থায় উক্ত চায়ের দোকানে গ্রেফতারকৃত আসামী আল শাহরিয়ার (২০) এর সহযোগী বন্ধু দূর্জয় (২০) ও মাসুদ (২৫) একটি মোটরসাইকেল যোগে সেখানে আসে।
এলাকায় মাদক বিক্রয় সংক্রান্তে শাকিল ও দূর্জয়ের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দূর্জয়, শাকিলকে চায়ের দোকানে পেয়ে মারধর শুরু করে এবং শাকিলের মোটর সাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়। ঘটনাস্থলে ভিকটিম এহসানুল হক @ ইমু (৩২) উভয় পক্ষের মারামারি ও বিরোধ নিষ্পত্তি করার চেষ্টাকালে তাদের মধ্যে গোলযোগ থামানোর একপর্যায়ে, ভিকটিম এহসানুল হক @ ইমু, সন্ত্রাসী দূর্জয়কে চড় থাপ্পড় মেরে তাৎক্ষণিক উভয়ের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়। ভিকটিম কর্তৃক দূর্জয়কে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার জন্য ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়। ইতিমধ্যে শাকিল ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অতঃপর রাত্রী অনুমান ১৯.৪০ ঘটিকার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দূর্জয়, তার বড় ভাই বাবু ও সোহাগ একখানা মোটর সাইকেলযোগে প্রস্তুতি নিয়ে পুনরায় প্রতিশোধ নেবার জন্য পুরাতন কসবা এলাকা থেকে অনুমান দেড় কিলোমিটার দূরবর্তী, ঘটনাস্থল উপশহরস্থ ‘‘রয়েল টি স্টল” এ যায়। দূর্জয়ের অন্যান্য সহযোগী গ্রেফতারকৃত আসামী আল শাহরিয়ার (২০) সহ, মাসুদ (২৫), ইয়াসিন (২০), সুইট (২০), শাহিন (২০) ও আসিফ (২০) ০২টি অটোরিক্সাযোগে ঘটনাস্থলে যায়। অতঃপর অনুমান ১৯.৪০ টার দিকে ঘটনাস্থলে তারা ভিকটিম এহসানুল হক @ ইমু (৩২) কে উক্ত স্থানে বসে থাকা অবস্থায় প্রথমে দূর্জয় ও সোহাগ তাদের হাতে থাকা বার্মিজ ছুরি দিয়ে ভিকটিমকে এলোপাথাড়ী কুপাতে থাকে এবং গ্রেফতারকৃত আসামী আল শাহরিয়ার ও পলাতক আসামী শাহিন, বাবু, মাসুদ, ইয়াসিন, সুইট ও আসিফ একত্রে তাদের হাতে থাকা দা দিয়ে ভিকটিমকে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা রিক্সাচালক ভিকটিম এহসানুল হক ইমুকে তার রিক্সাযোগে ঘটনাস্থল হতে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ইং ২১-০৬-২০২০ তারিখ ২০.২০ ঘটিকার সময় যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইং ২১-০৬-২০২০ তারিখ রাত্র ২০.৫০ মিনিটের সময় ভিকটিম এহসানুল হক @ ইমু মৃত্যুবরণ করে।
হত্যাকান্ড সংক্রান্তে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় উল্লেখিত মামলা রুজু হয়। আসামীকে অদ্য ২৪/০৬/২০২০ খ্রিঃ তারিখ জনাব মোঃ আকরাম হোসেন, বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, আমলী আদালত কোতয়ালী আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামী ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। মামলাটি তদন্তাধীন।
 মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাঃ এসআই(নিঃ) ¯েœহাশিস দাশ, পিবিআই, যশোর।
 তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ও পিবিআই (যশোর) ইউনিট ইনচার্জ ঃ এম, কে, এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেন, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (মোবাঃ ০১৭৬৯-৬৯০৩৭১)।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here