হেলাল উদ্দিন, রাজগঞ্জ প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসের প্রভাবে সরবরাহ ও উৎপাদন কম থাকার অজুহাতে রাজগঞ্জ বাজারে সবজিসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। বাড়তি দামের পণ্যসামগ্রী কিনতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা।
গত এক সপ্তাহ ধরে রাজগঞ্জ বাজারে সবজিসহ সব পণ্যের মূল্যে ওঠানামা করছে। এর মধ্যে প্রতিকেজি সবজির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এছাড়া কাঁচা ঝাল প্রতিকেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে আগে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা প্রতিকেজি। আষাঢ়ের বর্ষণের কারণে সামনের দিনগুলোতে সবজির দাম আর খুব একটা কমবে না বরং বাড়বে- বলেছেন ব্যবসায়ীরা। মাছের বাজারও চড়া রয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখাগেছে, রাজগঞ্জ বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঝিংগা ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, সবুজ শাক সহ অন্যান্য শাক ৪০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, কাঁচা কলা ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৬০ টাকা, ডাঠা ২৫ টাকা ও রসুন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
রাজগঞ্জ বাজারের কাঁচা সবজির খুচরা বিক্রেতা লিটন হোসেন বলেন, আষাঢ় মাসে সবজির দাম কখন কেমন থাকে বলা যায় না। ঈদের পর থেকেই তো সবজির দাম অনেক কম। তবে গত কয়েক দিনের চেয়ে এখন দাম একটু বেশি। যেহেতু এবার বৃষ্টি বেশি হচ্ছে, সেহেতু সামনে এক থেকে দেঢ় মাস সবজির দাম বাড়ার সম্ভাবনা বেশি। এদিকে, রাজগঞ্জ এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে সকল পন্যসামগ্রী কিনতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন- চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজি কম থাকায় দাম বেশি। কিন্তু একথা মানতে চাচ্ছেন না ক্রেতারা। তারা বলছেন- ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে খেটে খাওয়া অল্প আয়ের মানুষ। তাদের আয় কম, ব্যয় বেশি হওয়ায় মহা বিপদে আছেন।