শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ দূর্ণীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাকডেটে নিয়োগ দিয়ে অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্য

0
361

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি ঃ ঝিনাইদহের মহেশপুরে শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ দূর্ণীতি ও অনিয়মে ভরপুর। ২০১৫ সালের নিয়োগ ২০২০ সালে দিয়ে অর্ধকোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ। প্রাপ্ত সূত্রে প্রকাশ, কলেজের সু-চতুর অধ্যক্ষ শওকত আলী(নিয়োগ আলী)পুরাতন কমিটির স্বাক্ষরে ৩জন কে নিয়োগ দিয়ে অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্য করেছে বলে অভযোগ পাওয়া গেছে। একটি গোপন সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালে অর্ধকোটি টাকার বিনিময়ে ৩ জনকে ২১/১২/১৫ ইং তারিখে ব্যাক ডেটে নিয়োগ দেখিয়ে ঢাকায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম দিকে সরকার সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভূক্তির ঘোষণা করলে ঐ ঘোষনায় শহীদ জিাউর রহমান কলেজ কারিগরি শাখা এমপিও ভূক্তিকরণ হয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কলেজের সূ-চতুর অধ্যক্ষ ব্যাক ডেটে নিয়োগের কৌশল করে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, একই ব্যক্তিকে দুইবার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১১/১২/১৫ইং তারিখে নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে ২০/১২/১৫ইং তারিখে রেজুলেশন করা হয় এবং ২১/১২/১৫ তারিখে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয় মর্মে কাগজপত্রে দেখানো হয়েছে যা প্রকৃতপক্ষে সবকিছুই সাজানো নাটক। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন-১) মাসুদ রানা পিতা সিরাজুল ইসলাম,সাং-সাড়াতলা-বিষয় সাচিবিক বিদ্যা,২) মোঃ আশরাফুল আলম, পিতা মৃত ইয়াদুল ইসলাম সাং খালিশপুর-বিষয় ব্যবসায়ী সংগঠন, ৩) মোঃ শাহিনুর রহমান পিতা সিরাজুল ইসলাম খাঁন সাং দূর্গাপুর,বিষয়-ইংরেজী। সর্ব উপজেলা মহেশপুর।
কাগজপত্র অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, সাচিবিক বিদ্যা ২০১৫ সালের পূর্বেই বিলুপ্ত হওয়ার কারণে মাসুদ রানাকে আবারো পিছনে ফিরে ২০১২ সালের ২৬শে ডিসেম্বর তৎকালীন সভাপতি গোলাম হায়দার লান্টুর স্বাক্ষরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঐ সময় ২১/১২/১২ইং তারিখে নিয়োগ বোর্ড বসানো হয়েছে এবং ২৪/১২/১২ইং তারিখে রেজুলেশন করা হয়েছে এবং ২৬/১২/১২ তারিখে নিয়োগ দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে তৎকালীন সভাপতি গোলাম হায়দার লান্টু বলেন, তার আমলে মাসুদ রানা নামে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যদি কাগজপত্রে হয়ে থাকে তাহলে জাল করা হয়েছে। তিনি বলেন, তার আমলে ইংরেজীতে মোর্শেদ ও বাণিজ্যে মিলন নামে ২জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বেতন না হওয়ায় মোর্শেদ খালিশপুর হাই স্কুলে চলে যায়। তিনি আরো বলেন, শুনেছি শাহিনুর নামে ইংরেজীতে একজনকে নিয়োগ দেখানো হয়েছে যা নিয়মানুযায়ী হয়নি। ২৩/১২/১৫ই তারিখে নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদান দেখানো হলেও ২০১৯ সালে বেনবেজের কলেজের জনবল কাঠামোতে ইংরেজীতে মোর্শেদ এবং ব্যবসায়ী সংগঠনে আব্দুল হান্নানের নাম রয়েছে। কিন্তু ২০২০ সালে জনবল কাঠামোতে ইংরেজীতে শাহিনুর ও ব্যবসায়ী সংগঠনে আশরাফুলের নাম দেখা যাচ্ছে। মাসুদ রানার নাম বিগত দিনে বেনবেজে পাওয়া যাচ্ছে না। একইভাবে বিগত দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কলেজের জনবলে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তাতে এই ৩ জনের নাম নেই। এ সকল বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মোঃ শওকত আলী(নিয়োগ আলী)বলেন, তারা এ নিয়োগগুলি মিজানুর রহমান সভাপতি থাকাকালীন সময়ে দিয়েছে, তখন বেতন না হওয়ায় জনবল কাঠামোতে নাম অন্তর্ভূক্তি করা হয়নি। ২০১৯ সালে বেনবেজে যাদের নাম আছে তাদের পরিবর্তে ২০২০ সালে নতুন লোক কিভাবে এলো তার কোন সদ-উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
তৎকালীন সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, তার আমলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। বেনবেজে তাদের নাম কেন আসেনি এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here