জসিম উদ্দিন, শার্শা প্রতিনিধি : মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সবজি চাষীরা কিছু চিন্তিত থাকলেও আগাম জাতের কচু চাষ করে অধিক লাভবান হয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলার কৃষকরা। ফলন ভাল ও দাম বেশি পাওয়ায় মুখিকচু চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার শত শত কৃষক।
অন্যান্য বারের তুলনায় এবার মুখিকচুর দাম বেশ ভালো। সেই সাথে এবছর বর্ষার প্রকোপ কিছুটা বেশি থাকায় কচুর সেচ খরচও কম হয়েছে চাষীদের।
যেখানে দুদিনে একবার সেচ আর প্রতি সেচেই সার দিতে হয় সেখান এবছর খরচও কম হয়েছে। রোগ ও পোকা তুলনামুলক কম। বিঘা প্রতি ১শ থেকে ১শ ২০ মন কচু পাচ্ছেন কৃষক। স্থানীয় বাজারেই দর পাচ্ছেন কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকা। সবজি হিসাবে বাজারে চাহিদা বেশি থাকা এবং কচুর ফল ভালো হওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে কচুর চাষ।
শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের খামারপাড়া এলাকার কৃষক রশিদ মিয়া বলেন, তিনি এবছর ১০ কাঁঠা জমিতে আগাম জাতের কচুর চাষ করেছেন। খরচও তুলনামুলক কম হয়েছে।
এলাকায় অনেক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, শার্শা উপজেলায় এবার বাজারগুলোতে কচুর চাহিদা অনেক বেশি৷ আমাদের কচু নিয়ে আর বেশী দূরও যেতে হয় না এখন নিজের আশে পাশে অনেক ব্যাপারী পাওয়া যাচ্ছে ৷ কচুর ভালো চাহিদার কারণেই দাম বেশী পাচ্ছি৷
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার সৌতম কুমার শীল জানান, শার্শা উপজেলায় এবার মোট ৯০ হেক্টর জমিতে মুখি কচুর চাষ হয়৷ গতবার যা ছিলো ৬০ হেক্টর জমি৷ এবার শার্শা উপজেলায় গতবারের থেকে ৩০ হেক্টর জমিতে কচু চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ফলন ভাল, সীমিত খরচ এবং দাম বেশি পাওয়ায় দিন দিন মুখিকচু চাষে আগ্রহ বাড়ছে এই উপজেলার কৃষকদের।