শহিদুল ইসলাম দইচ : শীঘ্রই আইসিইউ ভেন্টিলেটর সুবিধা চালু হচ্ছে যশোর জেনারেল হাসপাতালে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে ৬টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। দুই একদিনের মধ্যেই যা যশোরে এসে পৌছাবে। কিন্তু মেশিনারিজ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই প্রতিষ্ঠানটির। অবশ্য সিভিল সার্জন বলছেন, স্থানীয়ভাবে ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিণের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে আইসিইউ চালু করা হবে এবং পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে জনবল চাওয়া হবে। যশোরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১২ এপ্রিল। এরপর বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। আজ শনিবার পর্যন্ত যশোরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫১০জন। শুরু থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। এসময় হাসপাতাল কর্তৃপ অসংখ্যা রোগী পেয়েছেন যাদের আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু সে সুবিধা না থাকায় রোগীদের খুলনা ও ঢাকায় রেফার করা হতো। এ অবস্থায় রোগীদের চিকিৎসা সুবিধার্থে আইসিইউ ভেন্টিলেটর চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় হাসপাতাল কর্তৃপ। তাদের সে চিঠির প্রেেিত মন্ত্রণালয় ৬টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর যশোর জেনারেল হাসপাতালের অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে। যা দুই একদিনের মধ্যে যশোরে এসে পৌছাবে এবং সেগুলো স্থাপনের উদ্যোগও নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপ। কিন্তু আইসিইউ পরিচালনার জন্য রয়েছে জনবল সংকট। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের ১০টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছিল। তার প্রেেিত ঢাকার নাক কান গলা ইনস্টিটিউটের মেরামতকৃত ৬টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা আগামীকাল রোববার হাতে পাওয়া যাবে। আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে হাসপাতালের ৬ নং মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডটি খালি করে মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুতই এটি চালু করা হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রশিতি জনবল চেয়ে পুনরায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, আইসিইউ না থাকায় প্রায়শ যশোর থেকে গুরুতর রোগীদের খুলনা ও ঢাকায় রেফার করা হচ্ছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ এসেছে তাতে এ অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসায় নতুন দ্বার উম্মোচিত হবে। তিনি বলেন, আইসিইউ চালু করতে প্রশিতি জনবলের অভাব থাকলেও স্থানীয়ভাবে ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিণের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে আইসিইউ চালু করা হবে এবং পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে জনবল চাওয়া হবে।