লাশের মিছিল বুড়িগঙ্গায়

0
400

লাশের মিছিল বুড়িগঙ্গায়
স্টাফ রিপোর্টার : লাশের মিছিল বুড়িগঙ্গায়। বাড়ছে লাশের সংখ্যা। স্বজনহারাদের বুকফাটা আর্তনাদে ভারি হচ্ছে বুড়িগঙ্গা পাড়ের বাতাস। শ্যামবাজার এখন শোকের বন্দর। একের পর এক লাশ। কিছুণ পরপরই একেকজন ডুবুরি লাশ নিয়ে পানির ওপর ভেসে উঠছেন।
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনাস্থলে একসঙ্গে ৪-৫ জন ডুবুরি উদ্ধার কাজ করছেন। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, লাশ তুলে তারা যেন শেষ করতে পারছেন না। এখন পর্যন্ত ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
আজ সোমবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা দোতালা ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চটি চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় শ্যামবাজার এলাকায় ডুবে যায়। লঞ্চে ৫০ যাত্রী ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, লঞ্চে শতাধিক যাত্রী ছিলেন। দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের পর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ, থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থলেই ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। নিখোঁজদের স্বজনরা বুড়িগঙ্গার তীরে এসে ভিড় করেছেন।
রাজ্জাক নামে একজন বলেন, তার বোনজামাই মুন্সীগঞ্জ থেকে সকালে ঢাকায় আসার কথা। এখনো তার কোনো সন্ধান পাননি।
সিদ্দিক নামে এক যুবক বলেন, তার মামা কালাম নিখোঁজ। তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
কোস্টগার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার হায়াৎ ইবনে সিদ্দিক বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের উদ্ধার অভিযান চলমান। এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৯ জন পুরুষ, আট নারী ও তিনটি শিশু রয়েছে।
উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দেওয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘লঞ্চের ভেতরে অনেক লাশ রয়েছ। আমরা শেষ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালাবো। নদীর নিচে ডুবে যাওয়া লঞ্চটির অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। আমাদের সঙ্গে নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএ ও থানা পুলিশ কাজ করছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here