বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের বাঘাপাড়ার একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের জোগসাজগে পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়ম বর্হিভুতভাবে গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী অফিসার সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধুপখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আলমঙ্গীর সিদ্দীকি সম্প্রতি পরিচালনা পরিষদের সভায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ গাছ ছাটায়ের রেজুলেশন করে। তিনি এ রেজুলেশনের বলে গত দুই দিন ধরে পুরাতন কয়েকটি রেন্টি গাছের বড় বড় ডাল কেটে বিক্রির প্রস্তুতি নেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঝড়ে যে কয়েকটি ডাল ক্ষতিগ্রস্থ হয় তার থেকে কয়েক গুন বেশি ডাল কাটা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে প্রধান শিক্ষিক শামিমা সুলতানার প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে এসে কোন কাট না সরানোর জন্য সভাপতি আলমঙ্গীর সিদ্দীকিকে নির্দেশ দিয়ে যান। অথচ বুধবার ভোর সকালে আলমঙ্গীরের উপস্থিতিতে প্রায় দুইশ মণ জ্বালানী কাট ও কয়েকটি লগ ট্রাকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিন দেখাগেছে, চারজন শ্রমিক ওই স্কুলের সামনে বড় বড় কয়েকটি ডাল কাটছে। স্কুল গেটের সামনে ডালগুলো জড়ো করে রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করছেন ওই ডাল গুলোর বাজারমূল্য আনুমানিক অর্ধ লক্ষ টাকা । বিদ্যালয়ের প্রধান শিক শামীমা সুলতানা জানিয়েছেন, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ গাছের ডাল ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি শিক্ষা অফিসের অনুমোদন না নিয়ে বাস্তবায়ন করা ঠিক হয়নি। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমি খোঁজ নিতে পারিনি। ডাল কাটার বিষয়টি আমি জানতেপেরে বিক্রির জন্য নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছি। পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলমঙ্গীর সিদ্দীকি বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত বলে গাছের ডাল কাটার ক্ষমতা রয়েছে। সেই অনুযায়ি জ্বালানী কাট বিক্রি করা হয়েছে। কিছু ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে অহেতুক ঝামেলা সৃষ্টি করছে। জানতে চাইলে বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি মঙ্গলবার ধুপখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় অতি পুরাতন কয়েকটি রেন্টিগাছের বড় বড় ডাল কাটা হয়েছে। আমি উপস্থিত মানুষদের বলে আসি এটি নিয়ম মেনে বিক্রি করতে হবে। তার আগে যেন একটি ডালও এখান থেকে না সরে। জ্বালানী বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।