নাসির আহমেদ,দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় জলবায়ু তহবিলের আওতায় নির্মিত পাকা সড়কটি দুই বছরের মাথায় নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কাজ শুরুর প্রাক্কালে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্র্নীতির লিখিত অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, টেকসই উন্নয়নের লক্ষে বিশ্ব জলবায়ু তহবিলের প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী বাজার থেকে দশমিনা সদর ইউনিয়নের হাজির হাট পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার পাকা সড়ক ২০১৮ সালের মার্চে কোষ্টাল কাইমেট রেজিরিয়েন্ট ইনফ্রাষ্ট্রাকচার (সি,সি,আর,আই,পি) জলবায়ু প্রকল্পের আওতায় নির্মান কাজ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এল,জি,ই,ডি) সম্পন্ন করেন। স্থানীয়রা জানান, সড়কটি তেতুলিয়া নদীর তীরঘেষা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ছিল। সড়কটি নির্মানের শুরুতে এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে মত বিরোধ চলছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটুয়াখালীর নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, ওই সড়কটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বেড়িবাঁধ ছিল। পরে ঐখানে এলজিইডি পাকা সড়ক নির্মান করেছেন। উপজেলা জলবায়ু ফোরামের সভাপতি পি.এম. রায়হান বাদল জানান, নি¤œ মানের নির্মান সামগ্রী এবং অপরিকল্পিতভাবে সড়কটি নির্মান করে ব্যাপক লুটপাট করা হয়। এই কারনে নির্মানের দুই বছরের মাথায় এসে সড়কটির অর্ধেক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমার অভিযোগ আমলে নেয়নি। বর্তমানে সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে জানা গেছে, মোঃ জামাল হোসেন নামে পটুয়াখালীর এক ঠিকাদার সড়কটি নির্মান করেছেন। তবে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারেনি এলজিইডি অফিস। এই ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, সড়কটি নদীগর্ভে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্যতার জন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।